ভাত-ডাল খাবারের উপকারিতা
বাংলাদেশের সব জায়গাতেই ভাত-ডাল জনপ্রিয় সহজ একটি খাবার। বিশেষ করে গ্রাম-গঞ্জে যেভাবে ডাল রান্না করে ভাতের সাথে খাওয়া হয় তা পৃথিবীর অন্য কোথাও এতোটা দেখা যায় না। তবে মজার ব্যাপার হলো এই সাধারণ খাবারে অনেক স্বাস্থ্যগত উপকারিতা আছে। সুতরাং আসুন জেনে নিই ডাল-ভাত একসঙ্গে খাওয়ার নানা উপকারিতা ।
প্রোটিন বা আমিষের সংমিশ্রণ : বিভিন্ন উদ্ভিদজাতীয় খাবারের মধ্যে বিভিন্ন পরিমাণে এই অ্যামিনো এসিড থাকে। মসুর ডাল এবং অন্যান্য কলাইয়ের মধ্যে বেশি পরিমাণে লাইজিন থাকে যা আবার ভাতে থাকে না। আবার ভাত এবং এই জাতীয় দানাদার শস্যে সালফার জাতীয় অ্যামিনো এসিড বেশি থাকে যেটা ডাল বা কলাইয়ে থাকে না। সুতরাং ২০ ভাগ ডাল এবং ৮০ ভাগ ভাতের মিশ্রণে প্রয়োজনীয় সবগুলি অ্যামিনো এসিড থাকে। ফলে সম্পূর্ণভাবে প্রোটিন বা আমিষের সংমিশ্রণ পাওয়া যায়।
আঁশ বা ফাইবারের চাহিদা পূরণ : ভাতে যথেষ্ট পরিমাণ প্রয়োজনীয় খাদ্য-আঁশ বা ডায়েটারি ফাইবার থাকে না। এক কাপ ভাতে মাত্র ৬০০ মিলিগ্রাম খাদ্য-আঁশ বা ডায়েটারি ফাইবার থাকে। আপনার প্রতিদিন যে পরিমাণ ডায়েটারি ফাইবার দরকার সেই পরিমান ভাতে থাকে না। তাই ভাতে যদি আপনি মাত্র দুই টেবিল চামচ ডাল নেন তাহলে ডায়েটারি ফাইবারের পরিমাণ সম্পূর্ণ হয়। ফলে ভাত এবং ডালের সংমিশ্রণ থেকে দৈনন্দিন চাহিদার বেশিরভাগ ডায়েটারি ফাইবার পাওয়া যায়।
অন্যান্য পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা : ডাল বেশি ডায়েটারি-ফাইবার দিয়ে থাকে, তবে সম্পূর্ণ পুষ্টির বিবেচনায় ভাতের গুরুত্ব অনেক। প্রতিদিন আপনার যে পরিমাণ ম্যাঙ্গানিজ দরকার, তার ৩৭ শতাংশ পাওয়া যায় ভাত থেকে। ভাত থেকে আপনার দৈনন্দিন চাহিদার ১৭ শতাংশ সেলেনিয়াম ও তার চেয়ে কিছু কম পরিমাণের মিনারেল ও বি ভিটামিন পাওয়া যায়।
পিডিএসও/তাজ