reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৩ জুন, ২০২৪

চিনাবাদাম কাদের জন্য ক্ষতিকর?

ছবি : সংগৃহীত

স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের অন্যতম উৎস চিনাবাদাম। এটি যেমন পেট অনেকক্ষণ ভরা রাখে, তেমনি বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে রাখতেও সাহায্য করে। তবে এর কিছু সম্ভাব্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি, বিশেষ করে যাদের অ্যালার্জি রয়েছে তাদের জন্য।

আমেরিকান কলেজ অফ অ্যালার্জি, অ্যাজমা এবং ইমিউনোলজি অনুসারে, ২০১০ সাল থেকে শিশুদের মধ্যে চিনাবাদামের অ্যালার্জি ২১% বৃদ্ধি পেয়েছে এবং প্রায় ২.৫ শতাংশ মার্কিন যুবকের চিনাবাদাম থেকে অ্যালার্জি হতে পারে। চিনাবাদাম খাওয়ার কিছু সম্ভাব্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া জেনে নিন-

১. অ্যালার্জি

মায়ো ক্লিনিকের মতে, চিনাবাদাম অ্যালার্জি নামে একটি অ্যালার্জি রয়েছে। চিনাবাদাম থেকে কারও কারও অ্যালার্জি হতে পারে। এমনকি অল্প পরিমাণে চিনাবাদাম খেলেও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। এটি আমবাত এবং চুলকানির মতো হালকা লক্ষণ থেকে মারাত্মক অ্যানাফিল্যাক্সিস পর্যন্ত গুরুতর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। তাই এ ধরনের অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে তারা চিনা বাদাম থেকে দূরে থাকবেন।

২. হজম সংক্রান্ত সমস্যা

ScienceDirect-এর মতে, চর্বির পরিমাণ ৪৪-৫৬% পর্যন্ত থাকে এবং এতে বেশিরভাগই মনো- এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যার বেশিরভাগই ওলিক এবং লিনোলিক অ্যাসিড দ্বারা গঠিত। চিনাবাদামে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হজমের জন্য উপকারী হতে পারে। তবে অতিরিক্ত চিনাবাদাম খেলে তা কারও কারও ক্ষেত্রে গ্যাস, পেটফাঁপা, ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো হজমের সমস্যার কারণ হতে পারে।

৩. ওজন বৃদ্ধি

যদিও চিনাবাদাম পুষ্টিকর, তবে এতে প্রচুর ফ্যাট থাকায় ক্যালোরিও বেশি থাকে। পরিমিত না খেয়ে প্রচুর পরিমাণে চিনাবাদাম খেলে তা ওজন বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে, বিশেষ করে যদি অন্যান্য খাবার এবং নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপের ভারসাম্য না থাকে।

৪. রক্তে শর্করার ওপর সম্ভাব্য প্রভাব

যদিও চিনাবাদামের তুলনামূলকভাবে কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI), অর্থাৎ এগুলো রক্তে শর্করার মাত্রায় দ্রুত বৃদ্ধি ঘটায় না, তবে প্রচুর পরিমাণে মিষ্টি বা স্বাদযুক্ত চিনাবাদাম জাতীয় খাবার যেমন পিনাট বাটার বা চিনিযুক্ত পিনাট স্ন্যাকস খেলে তা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে ভূমিকা রাখতে পারে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে।

৫. কিডনির ক্ষতি করতে পারে

চিনাবাদামে অক্সালেট থাকে, এটি প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন একটি যৌগ যা স্ফটিক গঠন করতে পারে। এটি সংবেদনশীল ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে কিডনিতে পাথরের তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারে। কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি থাকলে তাদের চিনাবাদামের মতো উচ্চ-অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলাই ভালো।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
চিনাবাদাম
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close