উপুড় হয়ে ঘুমানো ভালো নাকি খারাপ
ভালো এবং পর্যাপ্ত ঘুম সকলের জন্যই খুব জরুরি। তার জন্য কয়েকটি অভ্যাস মেনে চলতে হয়। এক এক জনের আবার এক এক রকম ভাবে ঘুমানোর অভ্যাস। কেউ চিৎ হয়ে, কেউ পাশ ফিরে, কেউ আবার উপুড় হয়ে ঘুমোন। উপুড় ঘুমালে শরীরের উপর কী প্রভাব ফেলে তা জানানো হয়েছে ‘হিন্দুস্তান টাইমসে’র এক প্রতিবেদনে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, উপুড় হয়ে নিয়মিত ঘুমোলে মেরুদণ্ড, ফুসফুসের উপর চাপ পড়তে পারে। এতে শরীরের বিশ্রাম ও ঘুমের ওপরও প্রভাব পড়তে পারে। তাই এর পরিবর্তে চিৎ হয়ে বা পাশ ফিরে শোওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
উপুড় হয়ে ঘুমালে মেরুদণ্ড বা অন্ত্রের ওপর চাপ পড়ে। দীর্ঘ দিন ধরে উপুড় হয়ে শোয়ার অভ্যাস ঘাড় ও পিঠে ব্যথার হতে পারে। এর ফলে অনেক সময় ঘুমের ব্যাঘাতও ঘটে। আর পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে শারীরিক নানা জটিলতাও দেখা দিতে পারে।
উপুড় হয়ে ঘুমালে কোমরেও সমস্যা হতে পারে। তার সঙ্গে আরও একটি অদ্ভুত সমস্যা হয়, সেটি হল ত্বকের। মুখের ত্বক খারাপ এবং শুকনো হয়ে যেতে পারে উপুড় হয়ে শোওয়ার ফলে।
চিকিৎসকরা উপুড় হয়ে না ঘুমানোর পরামর্শ দেন। তার বদলে চিৎ হয়ে ঘুমানোর অভ্যাস তৈরি করা উচিত। তবে সবচেয়ে ভালো হয়, যদি পাশ ফিরে ঘুমাতে পারেন।