বাহুমূলের কালচে দাগ দূর করুন ঘরোয়া উপায়ে
মুখ বা শরীরের অন্যান্য অংশের প্রতি সবাই যত্নশীল হলেও হাঁটু, কনুই ও বাহুমূলের দিকে নজর দেন না। এ কারণে শরীরের এসব স্থানে কালচেভাব দেখা দেয়। নানা কারণে এই দাগ হতে পারে। বংশগত কারণে, অতিরিক্ত ডিওডোরেন্ট ও বডি স্প্রে ব্যবহারের কারণে, ডায়াবেটিস কিংবা হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়ার কারণেও বাহুমূলে কালো দাগ হতে পারে । আবার নিয়মিত ওয়াক্সিং, শেভিং বা হেয়ার রিমুভিং ক্রিম ব্যবহারের ফলেও বাহুমূলে কালো ছোপ পড়ে।
লাইফস্টাইল বিষয় ওয়েবসাইট ‘স্টাইলক্রেজ’এ প্রাকৃতিক উপায়ে বাহুমূলের কালচে দাগ দূর করার কথা জানানো হয়েছে। যেমন-
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার :এটি ব্যবহারে মরা চামড়া উঠিয়ে বাহুমূলের স্থান উজ্জ্বল করে। পাশাপাশি এটি একটি জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে এবং উপস্থিত মাইক্রোবিওম ধ্বংস করে দেয়।
করণীয় : ২ চা চামচ বেকিং সোডা ও ২ চা চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে বাহুমূলের কালচে স্থানে লাগান। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কিন্তু যাদের ত্বক সংবেদনশীল তারা সোডা ও ভিনেগারের সাথে ১ চা চামচ পানি মিলিয়ে নিবেন। এটি সপ্তাহে ৩ দিন ব্যবহার করতে পারবেন।
অ্যালোভেরা :বাহুমূলের কালচে দাগ দূর করতে অ্যালোভেরা বেশ উপকারী।
করণীয় : অ্যালোভেরা মাঝ থেকে কেটে জেল বের করে বাহুমূলে কিছুক্ষণ ঘষে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি একদিন পরপর মাখতে পারেন।
অলিভ অয়েল ও চিনি : এটি ত্বককে হাইড্রেট ও ময়েশ্চারাইজ করে। পাশাপাশি চিনি ত্বককে এক্সফোলিয়েট করে এবং মরা চামড়া উঠিয়ে ত্বককে উজ্জ্বল করে।
করণীয় : ২-৩ টেবিল চামচ চিনির সাথে ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে বাহুমূলে ১-২ মিনিট ঘষে ৫ মিনিট রেখে দিন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে ২ দিন লাগাতে পারবেন।
হলুদ ও দুধ : হলুদ সাধারণত মুখের মাস্ক হিসেবে ব্যবহৃত হয় । হলুদ মুখকে উজ্জ্বল করে ও দাগ দূর করতে কাজে লাগে। হলুদ বাহুমূল উজ্জ্বল করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অন্যদিকে দুধে ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকায় বাহুমূলকে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
করণীয় : ১ টেবিল চামচ দুধ, ১ চা চামচ হলুদ ও ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে বাহুমূলে লাগান। ১০-১২ মিনিট শুকাতে দিন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে ২ বার লাগালে বাহুমূল উজ্জ্বল হবে।