রাগ সব মানুষের থাকে। কারো বেশি বা কারো কম। তবে রাগের ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকা ভালো। অতিরিক্ত রাগ কখনোই ভালো কিছু বয়ে আনে না। কথায় আছে- ‘রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন।’ কথাটা কিন্তু আসলেই সত্য। কারণ রেগে থাকলে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। রাগে মানুষ ভুল বেশি করে। কিন্তু কিভাবে বুঝবেন আপনার রাগ নিয়ে সমস্যা আছে? জানতে হলে নিচের লেখাটি পড়ে ফেলুন।

১. সব রাগী মানুষ কিন্তু সারা দিন চিৎকার করে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু রাগান্বিত ব্যক্তি তাদের রাগের মাত্রা কম দেখালেও বিরক্তিকর মনোভাব এবং আচরণ দেখায়। আপনি রেগে গেলে চিৎকার করেন না, কিন্তু এতই রাগ হয় যে চুপ হয়ে যান। কিন্তু অন্য কোনো উপায়ে এই রাগ প্রকাশ করেন।

২. কারো কথায় বা কাজে রেগে গেলেন তা হতেই পারে। কিন্তু এই ঘটনা আপনি মাথা থেকে সরাতে পারছেন না। কয়েক ঘণ্টা বা দিন পরে আবার সেই ঘটনা টেনে রেগে উঠলেন। আপনি বোঝাতে চাচ্ছেন পুরো ঘটনা আসলে কী ঘটেছে এবং আপনার এখানে কোনো দোষ নেই।

৩. রাগী মানুষ সব সময় ভাবে, তার সঙ্গেই অন্যায় হয়েছে। আপনার সঙ্গে এই ঘটনা আসলে ঘটার কথা নয়।

৪. নিজের যে ভুল হয়েছে এই অস্বস্তিটা তারা প্রকাশ করতে পারে না। যার ফলে আরো রাগে ফেটে পড়ে। অন্য প্রান্তে যে মানুষটা আছে তাকেই দোষ দিতে থাকে।

৫. আপনার মধ্যে যদি প্রচণ্ড চাপ থাকে, তাহলে রাগ আরো বেড়ে যেতে পারে। কিন্তু অন্য কাজে মন দিলে বা কাজ করলে ধীরে ধীরে চাপ কমে আসবে। যদি দেখেন কাজে গিয়েও কাজ উল্টাপাল্টা করে ফেলছেন, তাহলে সতর্ক হয়ে যান। রাগ এখনো কমেনি।

৬. তীব্র ব্যঙ্গপূর্ণ আচরণ করা কিন্তু রাগী হওয়ার একটি লক্ষণ। মজা সবাই করে। অনেকে ব্যঙ্গ করেও কথা বলে। এখানে কোনো উদ্দেশ্য থাকে না, মজা করাই উদ্দেশ্য; কিন্তু আপনার মনে কাউকে নিয়ে রাগ জমে আছে। ঠিক হাসি-তামাশার মধ্যে আপনি ওই ব্যক্তিকে নিয়ে তীব্র ব্যঙ্গপূর্ণ আচরণ শুরু করে দিলে বুঝবেন মনের ক্ষোভ বের হচ্ছে। এটা আপনি আর মজা করার উদ্দেশ্যে করছেন না।

৭. রাগী মানুষরা বেশি রেগে যাওয়ার কারণে যুক্তিহীন কথা বলা শুরু করে। তাদের মস্তিষ্ক আর সুন্দরভাবে ভাবতে পারে না। তখন তারা আবেগেকে বেশি গুরুত্ব দেয়।

৮. রাগী মানুষরা তাদের রাগের প্রকাশ বেশি ঘটায় অন্যের সমালোচনা করে। ইচ্ছা বা অনিচ্ছা দুভাবেই মানুষের সমালোচনা করতে পারে তারা।

৯. ছোট ছোট বিষয়গুলো রাগী মানুষের মাথা থেকে সহজে চলে যায় না। তারা এটা নিয়ে ভাবতেই থাকে। রাগও বাড়তে থাকে।