পনির স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি খারাপ
পনির অনেকেরই খুব পছন্দের। বিস্কুট থেকে শুরু করে পাউরুটি, পাস্তা, পিৎজা তৈরিতে এর ব্যবহার হয়। অনেকেই প্রতিদিন এ খাবারটি খান। গবেষণা বলছে, পনির স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। এটি দীর্ঘস্থায়ী কোনো রোগের ঝুঁকি বাড়ায় না।
নিয়মিত পনির খেলে যেসব স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়-
১. পনির ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে কারণ এটি অন্যান্য দুগ্ধজাত দ্রব্যের তুলনায় ক্ষুধা কমাতে পারে।
২. ইউরোপীয় জার্নাল অব নিউট্রিশনে প্রকাশিত ১৫টি গবেষণায় বলা হয়েছে, পনির কার্ডিওভাসকুলার রোগের প্রভাব কমায়। সেক্ষেত্রে প্রতিদিন দেড় আউন্স পনির খাওয়া যেতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, স্বল্প পরিমাণ পনির খেলে হৃৎপিণ্ডের সমস্যাকে প্রভাবিত করতে পারে না।
৩, ২১টি দেশের প্রায় দেড় লাখ মানুষের ওপর করা সমীক্ষায় দেখা গেছে, পনির খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে না। বরং ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়। নয় বছরের গবেষণার শুরুতে যাদের ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ ছিল না, তাদের মধ্যে যারা প্রতিদিন দুগ্ধজাত খাবার খেয়েছিলেন তাদের গবেষণার সময় রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কম ছিল।
ল্যাকটোজের সমস্যা
দুধে চিনি খেলে অনেকেরই সমস্যা হয়। ডায়রিয়া পর্যন্ত হতে পারে। এটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রোগের দিকে ঠেলে দিতে পারে। তবে আমেরিকান চিজ সোসাইটির প্রধান জেমি পিএনজে বলেছেন, পনিরে যে ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার হয় তার বেশিরভাগই ল্যাকটোজ হজম করতে পারে। যে ল্যাকটোজ অবশিষ্ট থাকে তার বেশিরভাগই পনির তৈরির পর তা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাই সমস্যা অনেক কম হয়।
তবে দিনে কতটা পরিমাণে পনির খাবেন তা প্রথম থেকেই স্থির করে নেওযা জরুরি। বেশিরভাগ গবেষণায় পনির খাওয়ার ব্যাপারে উপকারী প্রভাবের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দৈনিক দেড় আউন্স চিজ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।