অবশেষে ক্যান্সারেই মারা গেলেন এন কে নাতাশা
ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে প্রাথমিকভাবে সুস্থ হয়ে কর্মক্ষেত্রে ফিরলেও শেষ পর্যন্ত মারা গেছেন জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপিকা ডা. এন কে নাতাশা। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে ক্যান্সারেই মারা যান তিনি। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তার মৃত্যুতে সহকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নাতাশার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও তার আত্মার শান্তি কামনা করেছেন।
নাতাশার সাবেক সহকর্মী মিঠুন মোস্তাফিজ নাতাশার একটি ছবি শেয়ার করে ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘শোক ও স্মরণ। এক সময় আরটিভিতে আমার প্রিয় সহকর্মী, প্রিয় বোন, সবশেষ মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ সংবাদ উপস্থাপক, মেধাবী চিকিৎসক, পরপোকারী, বিনয়ের প্রতিচ্ছবি এন কে নাতাশা চলে গেলেন চিরতরে। ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করে টিকেছিলেন বেশ কিছু দিন। শেষ পর্যন্ত অনিঃশেষ গন্তব্যের অভিযাত্রী। ভালো থেকো আপা। আমার সাথে তোমাদের ক'জনের সবশেষ বৈঠকই শেষ স্মৃতি। আল্লাহ নিশ্চয়ই দয়াশীল। বোনকে বেহেশত নসীব করো খোদা।’
সাংবাদিক নেতা জান্নাতুল ফেরদাউস সোহেল লিখেছেন, ‘ক্যান্সারের সাথে লড়াইয়ে হেরে গেলেন মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের নিউজ প্রেজেন্টার ডাঃ এন কে নাতাশা। বৃহস্পতিবার রাতে অকালে চলে গেলেন ( ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার আত্মার শান্তি কামনা করছি। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।’
এভাবে আরও অনেকেই ডা. নাতাশার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে পরিবারের সমবেতনা ও তার আত্মার শান্তি কামনা করেছেন। পাশাপাশি অনেকে এসব পোস্টে কমেন্ট করে তারাও সমবেদনা জানিয়েছেন।
এর মধ্যে মিঠুন মোস্তাফিজের পোস্টে এমএইচ শিহাব কমেন্ট করেছেন, ‘ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করে’ নয়, ক্যান্সার আক্রান্ত হয়েও বেঁচে ছিলেন কিছু দিন। আমিও একজন ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যক্তি। তাকে ফলো করতাম অনলাইনে। আমার মা এবং মামা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আমার খুব কাছের এক ছোট ভাইও তিন বছর ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন। তবে সময় যখন চলে যাওয়ার হবে তখন তাকে যেতেই হবে। আমিও একদিন মরে যাব। তবে যতদিন বেঁচে আছি আল্লাহর শুকরিয়া।
পিডিএস/এইচএস