হানজালা শিহাব
সব রোগ প্রতিরোধে ‘সুপার হেলদি’ গ্রিন জুস
একগ্লাস গ্রিন জুস দিয়ে শুরু হোক আপনার দিন। এতে শারীরে যেকোনো রোগ প্রতিরোধে শক্তি বা এন্টিবডি তৈরি হবে। পেটের সমস্যা দূর হবে। লিভার ভালো থাকবে। শরীর প্রয়োজনীয় এনার্জি পাবে। শুধু কি তাই, আপনার বয়স ও যৌবন ধরে রাখতেও এটি অত্যন্ত কার্যকরী একটি পানীয়।
গ্রিন জুস বিশ্বের সেরা খাদ্য তালিকার দ্বিতীয়। স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তম খাবার বাদাম। এরপরই গ্রিন জুস। এই জুস রক্তকে পরিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে। শরীর ও লিভারকে দূষিত হওয়া থেকে রক্ষা করে ও লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে।
বেশির ভাগ মানুষের সকালে ঘুম থেকে উঠে সাধারণত দিন শুরু হয় গরম ধোঁয়া ওঠা চা বা কফির কাপে চুমুক দিয়ে। অনেকে গ্রিন টি বা লেবু-গরম জল দিয়ে দিন শুরু করেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, চা-কফি-গ্রিন টি নয়, এক গ্লাস তাজা সবজির রস খেলে শরীর থাকবে সুস্থ ও ফিট। স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবারের বিকল্প হিসেবে এই সবুজ রঙের জুস কতটা উপকারী, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। শরীরিক নানা সমস্যা থেকে মুক্তি তো পাবেনই, উপরুন্তু রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাও উন্নত করতে সহায়তা করে।
সম্প্রতি ইন্সটাগ্রামে ডায়েটিশিয়ান মানসি পাদেচিয়া এই স্বাস্থ্যকর ও সুপার হেলদি গ্রিন জুসের উপকারিতা ও রেসিপি শেয়ার করেছেন। ক্যাপশনে লিখেছেন, এই একটি স্বাস্থ্যকর সবুজ রস দিয়ে দিন শুরু করলে স্বাস্থ্য তো বটেই ত্বক ও চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার দুরন্ত উপায়। অর্থাৎ আপনার বয়স বাড়লেও ত্বকে এর চিহ্ন দেখা দিবে না।
কীভাবে বানাবেন সুপার হেলদি গ্রিন জুস লাউ, শসা, সেলেরি, করোল্লা, পেঁপে, আদা,জলপাই, আমলকি, গাজর, শসা,লেটুস পাতা, ধনে পাতা, পুদিনা পাতা, বিটরুট, মিন্ট পাতা, পালং শাক,বাঁধা কপি- পরিমাণ মতো নিয়ে সবগুলো বিশুদ্ধ পানিতে ধুয়ে নিন। এরপর সবগুলো টুকরো করে কাটুন। এবার সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ডার জারে ব্লেন্ড করে নিন। পরে ছেঁকে নিতে পারেন। না ছেঁকেও খেতে পারেন।
তবে ব্লেন্ড শেষে জুসের সঙ্গে লেবুর রস, জিরার গুঁড়ো, স্বাদমতো পিংক সল্ট ও অর্গানিক আপেল সিডার ভিনেগার নিন ১-২ চামচ ও অলিভওয়েল বা অর্গানিক নারিকে তেল ১-২ চামচ মিশ্রণ করুন। এরপর দিনের প্রথম খাবার হিসেবে একগ্লাস পান করুন। সুস্থ থাকতে নিয়মিত এই জুস প্রতিদিন খাবারগ্রহণের আগে একগ্লাস করে পান করুন।
উপকারিতা
১. রক্তকে পরিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে। শরীর ও লিভারকে দুষিত থেকে রক্ষা করে ও লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে।
২. ভিটামিন সমৃদ্ধ এই জুস চোখের দৃষ্টি ও সমস্যা প্রতিরোধ করে। ইমিউন সিস্টেমকে বাড়াতে সাহায্য করে।
৩. শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। লিভার থেকে পিত্ত ও চর্বি কমিয়ে হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
৪. এই উপকারী রস হজমতন্ত্রকে শক্তিশালী করে এবং
৫. শরীর থেকে বর্জ্য অপসারণের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি পানীয় এটি। সূত্র : আমেরিকান সেন্টার অব রিজেনারেটিভ হেলথ ও ইন্টারনেট।