reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

চায়ে কৃত্রিম চিনি, হার্টের ক্ষতি হচ্ছে না তো?  

ফাইল ছবি

ওজন কমানো বা সুস্থ থাকার লক্ষ্য যা-ই হোক, অনেকেই এখন রান্নায় বাড়তি চিনি দিতে পছন্দ করেন না। চিনিতে আছে এমন খাবার যেমন মিষ্টি, কেক, চকোলেট, নরম পানীয়ও; যা অনেকে খাওয়া ছেড়ে দেন। রিফাইন্ড সুগার বা চিনি শরীরের কতটা ক্ষতি করে তা বার বার মনে করিয়ে দেন চিকিৎসকরাও। শুধু ক্যালোরি বেড়ে যাওয়া নয়, ভুঁড়ি হওয়া, ত্বকের জেল্লা হারিয়ে যাওয়া, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া, চুল পড়ার মতো নানা রকম সমস্যা দেখা দেয় চিনি থেকে। তাই বিজ্ঞানের ভাষায় ইদানীং চিনিকে ‘স্লো পয়জন’ও বলা হয়ে থাকে।

তবে খাদ্য রসিক বাঙালির চিনি ছাড়া চলে না। কোনো অনুষ্ঠান হলেই বাড়িতে মিষ্টির পদ না হলে ঠিক জমে না! সকাল-বিকাল চা বা কফি চিনি ছাড়া মুখে রোচে না। ফলে চিনির বিকল্প খুঁজে বেড়ান সবাই। ‘সুগার ফ্রি’ বা ‘স্টিভিয়া’র মতো কিছু কৃত্রিম বিকল্প বাজারে এখন সহজলভ্য। অনেকের রান্নাঘরেই ঠাঁই পেয়েছে কৃত্রিম চিনির কৌটা। অনেক ডায়াবেটিক রোগীর প্রতিদিনকার ডায়েটেও স্থান পেয়েছে এই কৃত্রিম চিনির গুঁড়া কিংবা ট্যাবলেট। তবে রোজের ডায়েটে এই কৃত্রিম চিনি খাওয়া কি আদৌ স্বাস্থ্যকর?

পুষ্টিবিদরা বলছেন, বাজারে যেসব কৃত্রিম চিনি পাওয়া যায় তাতে অ্যাসপারটেম ও সুক্রালোজ নামক যৌগ থাকে। এই যৌগগুলোর কারণেই কৃত্রিম চিনিতে মিষ্টি ভাব আসে। এগুলো কিন্তু শরীরের পক্ষে মোটেই ভালো নয়। সুক্রালোজের তুলনায় অ্যাসপারটেম আরো বেশি ক্ষতিকর। এই দুই যৌগ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যেমন হৃদযন্ত্র, মস্তিষ্ক ও স্নায়ুর ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। শরীরে নেগেটিভ ইলেকট্রন তৈরি হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। যেকোনো কৃত্রিম জিনিসই তো বেশি খাওয়া শরীরের পক্ষে ভালো নয়, কৃত্রিম চিনিও তাই পরিমিত মাত্রায় খাওয়াই শ্রেয়। কৃত্রিম চিনি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়বে না, ওজন বাড়বে না এই ভেবে সকালে চা থেকে শুরু করে, সারা দিনের রান্নাবান্না এমনকি ক্ষীর কিংবা পায়েসও মিষ্টি ভাব আনতে কেউ কেউ এই ধরনের চিনির ব্যবহার করেন। এতে কিন্তু আপনার শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তাই মাত্রাতিরিক্ত কৃত্রিম চিনি খাওয়া উচিত নয়। সূত্র : আনন্দবাজার অনলাইন।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
চিনি,চা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close