‘মা ও শিশুর জীবন বাঁচাতে, স্বাস্থ্য কেন্দ্রে হবে যেতে’
২৮ মে জাতীয় নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস। এ দিবস উপলেক্ষে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল নানা কর্মসূচি পালন করেছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘মা ও শিশুর জীবন বাঁচাতে, স্বাস্হ্য কেন্দ্রে হবে যেতে’।
হাসপাতাল ক্যাম্পাসে সকাল ৯টার দিকে বর্ণাঢ্য র্যালির মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। হাসপাতালের গাইনী ও অবস বিভাগের সকল চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা এ র্যালিতে অংশ নেন এবং পরে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক লে. কর্নেল নাজমুল হুদা খান বলেন, ১৯৯৭ সালে ২৮ মে কে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস ঘোষণার মাধ্যমে মায়েদের প্রসব পূর্ববর্তী, প্রসবকালীন ও প্রসব পরবর্তী সেবা প্রদানে তৃণমূল পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে শুরু করে ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও বিশেষজ্ঞ রেফারেল হাসপাতালের সকল পর্যায়ে সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়। ফলে মাতৃ মৃত্যূর হার পূর্বের হারের এক তৃতীয়াংশে উপনীত হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এ হার বিশ্ব স্বাস্হ্য সংস্থার লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে সক্ষম হবে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল হলেও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রনে আসায় গত তিন মাস ধরে কুর্মিটোলা হাসপাতালের গাইনী ও শিশু বিভাগের বহির্বিভাগের সেবা চালু হয়েছে, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহের পর থেকে ইনডোর ও অপারেশন সেবা চালু হবে।
গাইনী বিভাগের প্রধান সহকারী অধ্যাপক ডা. আসাম রুমানাজ শহীদ বলেন, প্রসূতি মায়েদের স্বাস্থ্যসেবায় কুর্মিটোলা হাসপাতালে এএনসি ও পিএনসি সেবা প্রথম থেকেই চালু রয়েছে। করোনাকালেও করোনা আক্রান্ত মায়েদের সেবা প্রদান করা হয়েছে। সফল করোনা নিয়ন্ত্রনের এ পর্যায়ে শীঘ্রই আমরা গাইনী বিভাগের সকল সেবা চালু করছি।
আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন শিশু বিভাগের প্রধান সহকারী অধ্যাপক ডা.ফেরদৌসী হাসনাত, গাইনী বিভাগের ডা. সোহেল আহমেদ খান ও সাবেক বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. জেবুন নেছা (অব.) প্রমুখ।
আলোচনা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী অধ্যাপক ডা. সামিন আফরিন। আলেচনা শেষে প্রসূতি মায়েদের এ বিষয়ক স্বাস্হ্য শিক্ষা ও লিফলেট প্রদান করা হয়।