স্বামী-স্ত্রীর বয়সের ফারাক কত হওয়া উচিত?
যখন একজন আরেকজনকে পছন্দ করেন, তখন নানা ধরনের জিনিস খেয়াল করেন। কারও কথা বলার ধরন পছন্দ হয়। কারও বা রূপ। কারও বিশেষ কোনও গুণ। সাধারণত বয়সের কথা পরেই খেয়াল হয়।
কিন্তু বিয়ে করে সংসার পাতার ক্ষেত্রে দুজনের বয়সের ব্যবধানের গুরুত্ব রয়েছে। অন্তত এমনই দাবি সম্পর্ক নিয়ে গবেষণায় ব্যস্ত মনোবিদদের। সামাজিক আলোচনায় শোনা যায়, স্বামী-স্ত্রীর বয়সের ফারাক যত বেশি হবে, ততই সুখের হয় দাম্পত্য। কিন্তু এ সমীকরণ কি সত্যিই এত সহজ?
সাম্প্রতিক একটি গবেষণা কিছুটা সে ধারণাকেই স্বীকৃতি দিচ্ছে। তাদের বক্তব্য, একেবারে সমবয়সি কারও সঙ্গে সংসার পাতার চেয়ে খানিকটা ব্যবধান থাকলে ভালো।
তবে তার মানে এমন নয়, ১০ বছরের ব্যবধান থাকতে হবে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। বরং যেসব দম্পতির মধ্যে বয়সের ফারাক এক থেকে তিন বছরের মধ্যে, তারা অন্যদের তুলনায় সবচেয়ে বেশি সুখী। বিশেষ করে যাদের মধ্যে চার থেকে ছয় বছরের ব্যবধান, তাদের চেয়ে আগের দলটি বেশি সুখী। তবে এরপর বয়সের ব্যবধান যত বাড়বে, তাদের মধ্যে সুখের পরিমাণ কমতে যাবে। অর্থাৎ, বয়সের ব্যবধান বেশি বাড়তে থাকলে দাম্পত্যে সুখ কমে।
আমেরিকার সেই গবেষক দলের করা সমীক্ষায় আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। সেখানে দেখা গেছে, যেসব ব্যক্তির সঙ্গী তার থেকে বয়সে ছোট, বিয়েতে তারাই বেশি সুখী। তবে সঙ্গী যদি ছয় বছরেরও বেশি ছোট হয়, সে ক্ষেত্রে সব সময়ে সুখের মান এক রকম থাকে না। সূত্র : আনন্দবাজার