reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৪ মে, ২০২২

‘দেশের ৩০ শতাংশ মানুষ থাইরয়েড সমস্যায় ভুগছেন’

ফাইল ছবি

২৫ মে বিশ্ব থাইরয়েড দিবস। ২০০৯ সাল থেকে সারা বিশ্বে এ দিবসটি পালিত হচ্ছে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটি (বিইএস) ‘বৈজ্ঞানিক অধিবেশনের’ এবং ‘গর্ভাবস্থায় থাইরয়েড রোগের চিকিৎসার গাইডলাইন’ প্রকাশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

বুধবার (২৫ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের বল রুমে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে উপস্থিত থাকবেন সচিব (স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ) মো. সাইফুল হাসান বাদল, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়সহ দেশবরেণ্য খ্যাতিমান চিকিৎসকরা।

বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, বর্তমানে বিপূল জনগোষ্ঠী থাইরয়েড রোগে আক্রান্ত। এদের অর্ধেকের বেশি জানে না যে তারা থাইরয়েড সমস্যায় ভুগছে। বাংলাদেশে থাইরয়েড সমস্যার সকল ধরনকে এক সাথে হিসেব করলে তা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩০% এর কাছাকাছি হবে।

তিনি বলেন, ভারতের অবস্থা অনেকটা এমনই। প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলাদের প্রায় ২ শতাংশ এবং পুরুষদের প্রায় ০.২ শতাংশ হাইপারথাইরয়েডিজম (থাইরয়েড হরমোনের বৃদ্ধি জনিত সমস্যা) রোগে ভোগে।

তিনি আরও বলেন, ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে এ রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেশি। প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ, মহিলাদের মধ্যে ৩.৯ শতাংশ থেকে ৯.৪ শতাংশ হারে হাইপোথাইরয়েডিজম (থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি জনিত সমস্যা) থাকতে পারে। আরও প্রায় ৭% মহিলা ও পুরুষ সাবক্লিনিক্যাল হাইপোথাইরয়েডিজমে ভুগে থাকে। নবজাতক শিশুদেরও থাইরয়েডের হরমোন ঘাটতি জনিত সমস্যা হতে পারে এবং তার হার ১০ হাজার জীবিত নবজাতকের জন্য ২-৮ হতে পারে। বাড়ন্ত শিশুরাও থাইরয়েড হরমোন ঘাটতিতে ভুগতে পারে। এ সময় থাইরয়েডের হরমোন ঘাটতি হলে শিশুদের দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। পরবর্তী সময়ে দৈহিক বৃদ্ধির সমতা আনয়ন করা গেলেও মেধার উন্নতি করা সম্ভব হয় না; অর্থাৎ শিশু-কিশোরদের হাইপোথাইরয়েডিজম হলে তা দ্রুত সমাধান করা না গেলে বুদ্ধি-বৃত্তির বিকাশ স্থায়ীভাবে ব্যাহত হবে।

উল্লেখ্য, থাইরয়েড গ্রন্থিটি গলার সামনের দিকের অবস্থিত। গ্রন্থিটি দেখতে প্রজাপতি সাদৃশ এবং এটি ট্রাকিয়া বা শ্বাসনালিকে প্যাঁচিয়ে থাকে। যদিও এটি একটি ছোট গ্রন্থি, কিন্তু এর কার্যকরীতা ব্যাপক। থাইরয়েড গ্রন্থি কর্তৃক নিঃসৃত হরমোন মানব পরিপাক প্রক্রিয়ায় অন্যতম ভূমিকা পালন করে। ভ্রুণ অবস্থা থেকে আমৃত্যু থাইরয়েড হরমোনের প্রয়োজন অপরিহার্য। এ হরমোনের তারতম্যের জন্য শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি, শরীর মোটা হওয়া- ক্ষয় হওয়া, মাসিকের বিভিন্ন সমস্যা, ত্বক, হার্ট ও চোখ ভয়ঙ্করভাবে বড় হয়ে যেতে পারে। বন্ধ্যাত্বের অন্যতম কারণ হিসেবে থাইরয়েড হরমোনের তারতম্যকে দায়ী করা হয়। শারীরিক কার্যক্ষমতা সঠিক রাখার জন্য নির্দিষ্ট মাত্রায় এ হরমোন শরীরে থাকা একান্ত জরুরি।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
থাইরয়েড,বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটি
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close