স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকিতে যেসব নারী
আমাদের দেশের নারীরা যেসব ক্যান্সারে আক্রান্ত হন তার মধ্যে স্তন ক্যান্সার শীর্ষে রয়েছে। দেশে স্তন ক্যান্সারে বছরে আক্রান্ত হচ্ছেন প্রায় ২০ হাজার নারী। অনেকেই মনে করেন স্তন ক্যান্সার হলে সুস্থতা লাভ সম্ভব নয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রতিরোধের মাধ্যমে তাদের মধ্যে ৫০ শতাংশই নিরাময়যোগ্য।
শুধু আমাদের দেশেই নয়, বিশ্বে প্রতি আটজনের মধ্যে একজন নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন।
আইএআরসি বলছে, বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৩ হাজারের বেশি নারী নতুন করে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। এ কারণে মারা যান ৬৭৮৩ জন।
যে নারীরা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন :
১. বেশি বয়সে প্রথম সন্তান ধারণ করা অথবা নিঃসন্তান থাকা
২. সন্তানকে বুকের দুধ পান না করানো
৩. বয়স ৩৫ বছরের ঊর্ধ্বে হলে
৪. পরিবারের কারো স্তন ক্যান্সার ইতিহাস থাকলে
৫. দীর্ঘদিন ধরে জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য পিল বা বড়ি খেলে
৬. ১২ বছর বয়সের আগে প্রথম ঋতুস্রাব হওয়া অথবা ৫০ বছর পরে গিয়ে ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়া।
৭. অত্যধিক চর্বিযুক্ত খাবার খেলে
৮. ধূমপান, মদ্যপান এবং তামাকজাতীয় দ্রব্যে আসক্ত থাকা
৯. দীর্ঘদিন তেজস্ক্রিয় পদার্থের সংস্পর্শে থাকা।
যেভাবে সুস্থতা লাভ সম্ভব
সচেতন হলে স্তন ক্যান্সার নিরাময় করা সম্ভব। ঝুঁকিতে থাকা নারীদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। ২০ বছর বয়স থেকেই নিজে নিজে স্তন পরীক্ষা করে এবং ৩৫ বছররের ওপরের নারীরা ম্যারেনাগ্রাফিক স্ক্রিনিং কর এ থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেন।