হার্ট অ্যাটাকের আগেই সংকেত দেয় শরীর!
মানুষের অকালমৃত্যুর একটি বড় কারণ হার্ট অ্যাটাক (হৃদরোগ)। সাধারণত হার্ট অ্যাটাক হয় হৃৎপিণ্ডে পর্যাপ্ত রক্ত চলাচল কমে গেলে বা বন্ধ হয়ে গেলে। অথবা রক্ত চলাচলের শিরা-উপশিরাগুলোতে কোনো ব্লক হলে। আর এ হার্ট অ্যাটাক হতে পারে যখন-তখন। তবে হার্ট অ্যাটাকের এক মাস আগে থেকেই দেহ কিছু সতর্ক সংকেত দিতে শুরু করে। আগেভাগেই হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো ধরতে পারলে হয়তো অকালমৃত্যু এড়ানো সম্ভব হতে পারে।
শ্বাসকষ্ট : শ্বাস-প্রশ্বাসে যদি কষ্ট হয়, তাহলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থাকে। শ্বাস নিতে কষ্ট হলে, দম আটকে এলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ঘাম : কোনো কারণ ছাড়াই ঘাম হচ্ছে? একটুতেই হাঁপিয়ে যাচ্ছেন? তা হলেও দুশ্চিন্তার কারণ রয়েছে। শরীরে রক্ত চলাচল ঠিকঠাক না হলে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ঠিক করে অক্সিজেন পায় না। তাই হাঁপ ধরতে পারে। রক্ত প্রবাহ কমে গেলে দেহে ঘাম ঝরলে স্যাঁতসেঁতে ও ঠাণ্ডা ভাব অনুভূত হবে। এ ছাড়া যদি মাঝরাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে দেখেন দরদর করে ঘামছেন, তা হলে উপেক্ষাও করবেন না।
বুক ব্যথা : বুক, বাহু, পিঠ এবং কাঁধে ব্যথা অনুভূত হলে দ্রুত ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। বুকে ব্যথা এবং সংকোচন হৃৎপিণ্ডের অসুস্থতার একটি বড় লক্ষণ।
অস্বাভাবিক শারীরিক দুর্বলতা : রক্ত প্রবাহ কমে গেলে এবং রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হলে এমনটা হয়। রক্তের শিরা-উপশিরাগুলোতে চর্বি জমে বাধা সৃষ্টি করলে এবং মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়লে হৃদরোগের প্রধানতম এ লক্ষণটি দেখা দেয়।
ঝিমুনি : দেহে রক্তের প্রবাহ কমে গেলে ঝিমুনিও দেখা দেয়। মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ কমে গেলে ঝিমুনির সৃষ্টি হয়।
বমি, বদহজম, তলপেটে ব্যথা :
বমিভাব, বদহজম, বুক জ্বালাপোড়া করা বা তলপেটে ব্যথাও অনেক সময় হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ হতে পারে। সুতরাং এই লক্ষণগুলো দেখা গেলেও হৃদরোগের ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন। মেয়েদের ক্ষেত্রে কিছু লক্ষণ আলাদা। বুকে ব্যথা, ঘাম হওয়া বা হাপ ধরা ছাড়াও পেটে অস্বস্তি, পিঠে ব্যথার মতো কিছু অন্যান্য লক্ষণও দেখা দিতে পারে।
চিকিৎসা :
চিকিৎসার জন্য রোগীকে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যেতে হবে। সন্নিকটে হৃদরোগের চিকিৎসা সুবিধা সংবলিত হাসপাতাল থাকলে সেখানে যাওয়াই উত্তম। হাসপাতালে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে ধারাবাহিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
হাসপাতালে পৌঁছানোর আগে যা করতে হবে :
পর্যাপ্ত আলো-বাতাস নিশ্চিতকরণ, জিহবার নিচে দুই চাপ নাইট্রেট স্প্রে বা একটি নাইট্রেট ট্যাবলেট দিতে হবে এবং দ্রুত হাসাপাতালে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
পিডিএসও/ জিজাক