এই আবহাওয়ায় চুল পড়ছে
গরমের সময়ে মাথার স্ক্যাল্প ঘেমে অনেকেরই চুল পড়ছে। এই সময়টাতে অতিরিক্ত চুল পড়ার অনেকগুলো কারণ আছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণগুলো জেনে নিন-
অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার
চুল ও স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখতে শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। শ্যাম্পু আমাদের স্ক্যাল্প ও চুলের ময়লা ও তেলতেলে ভাব দূর করে, ড্যানড্রাফের হাত থেকে বাঁচায়। কিন্তু প্রয়োজনের বেশি শ্যাম্পু ব্যবহার করলে হিতে বিপরীত হয়। এছাড়া কলের পানিতে অনেক ক্ষার থাকে। ফলে এই পানি বেশি ব্যবহারও চুলের জন্য ক্ষতিকর। কড়া কেমিক্যালের শ্যাম্পু ব্যবহার করলে চুলে ওভার ড্রাইনেসে ন্যাচারাল অয়েল কমে যায়। ফলে চুল শুষ্ক ও নির্জীব হয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে আমাদের দেশের আবহাওয়ায় যাদের প্রতিদিনই বাইরে যেতে হয় তাদের চুল ধুলাবালিতে ময়লা বেশি হয়। তাদের প্রতিদিনই শ্যাম্পু করা উচিত। এক্ষেত্রে মাইল্ড শ্যাম্পু কিংবা হারবাল শ্যাম্পু ব্যবহার করা ভালো।
কন্ডিশনার ব্যবহার না করা
চুল ঠিক রাখতে কন্ডিশনার খুব গুরুত্বপূর্ণ। অধিকাংশ সময়ই শ্যাম্পু করার পর আমরা কন্ডিশনার ব্যবহার করি না। অথচ শ্যাম্পু আমাদের চুলের ন্যাচারাল অয়েল শুষে নেয়। কন্ডিশনিং এর ফলে চুলের সঠিক আদ্রতা বজায় থাকে এবং ড্রাইনেস কমে চুল সফট হয়। চুল বেশি রুক্ষ হলে শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত। স্বাভাবিক চুল হলে এক দিন পরপর কন্ডিশনিং করলেও চলবে।
চুল বাঁধা
অনেক সময়ই সময় স্বল্পতার কারণে ভেজা চুল বেধেই আমরা বাইরে বের হয়ে যাই। আবার অনেকে চুল টাইট করে বেণী করে ঘুমাতে যান। এর ফলে রক্ত-সঞ্চালনেও সমস্যা হয়। চুল উঠে যাওয়ারও ঝুঁকি থাকে। ভেজা চুলের গোড়া নরম হয়ে যায় এবং চুল ভঙ্গুর হয়।
চুলের আগা না ছাটা
চুলের আগা ফেটে যাওয়া সাধারণ সমস্যা। অনেকেই অবহেলা করে চুলের আগা কাটেন না। যার ফলে দেখতে বাজে লাগে, চুল পাতলা দেখায়, চুলে জট লাগে । তাই নিয়মিত চুলের আগা ছাটা জরুরি। ২-৩ মাস পরপর চুলের আগা ছাঁটা চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ঠিক থাকে এবং চুলের স্বাস্থ্য ঠিক থাকে।
হিট ও কেমিক্যাল
চুল শুকাতে হেয়ার ড্রয়ার, হেয়ার স্টাইলিংয়ের জন্য আয়রন কিংবা কার্লার অনেকই ব্যবহার করি। তবে নিয়মিত চুলে এসব যন্ত্র ও হিট ব্যবহার করা ঠিক না। অনেকেই আছেন যারা ভেজা চুলে স্ট্রেইটনার ব্যবহার করেন যা চুলের জন্য খুবই ক্ষতিকর। প্রয়োজন না হলে ব্যবহার না করাই ভালো। তবে খুব বেশি ব্যবহার করতে হলে অবশ্যই হিট প্রটেকটর ব্যবহার করা উচিত।
তেল ম্যাসাজ
চুলে পুষ্টি যোগাতে নিয়মিত তেল ম্যাসাজ জরুরি। সপ্তাহে দুই বা তিনবার নারিকেল তেল ম্যাসাজ করতে পারেন। নারিকেল তেলে রয়েছে ভিটামিন ই, কে এবং আয়রন । স্কাল্পে নারিকেল তেল ম্যাসাজের ফলে ব্লাড সার্কুলেশন বেড়ে যায় এবং চুল সব ভিটামিন অ্যাবজর্ব করে স্কাল্পের ময়েশ্চার ধরে রাখে। খুশকির কমে । এছাড়া ডিপ কন্ডিশনিং করে।
পিডিএসও/ জিজাক