পিরিয়ড চলাকালীন শারীরিক সম্পর্ক। শুনে ভুরু কুঁচকে যায় বেশিরভাগের। একদিকে দাগ লেগে যাওয়ার ভয়, অন্যদিকে ভ্রান্ত ধারণা। বেশিরভাগ নারী-পুরুষেরই ধারণা পিরিয়ড চলাকালীন যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। কিন্তু গবেষণা বলছে অন্য কথা।

গবেষণা বলছে, পিরিয়ডের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের কোনও শত্রুতা নেই। বরং পিরিয়ড চলাকালীন শারীরিক সম্পর্ক স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ ভালো। ঋতুমতী অবস্থায় যৌনতার দুর্দান্ত চারটি সুফল রয়েছে।

১. পিরিয়ডের সময় প্রচুর জ্বালা-যন্ত্রলণা হয়ে থাকে। পেটে, কোমরে অসহ্য যন্ত্রণা যেন জমাট বেঁধে রয়েছে। কোনও নড়নচড়ন নেই। সেইসময় আরাম দিতে পারে যৌনতা। গবেষণা বলছে অর্গাজমের ফলে যন্ত্রণার অনেকখানি উপশম হয়।

২. পিরিয়ডের সময় অনেক সময়ই অনেকের খিঁচুনি হয়। শারীরিক সম্পর্ক তখন অব্যর্থ ওষুধের মতো কাজ করে। সেক্সের পর শরীর ও মন অনেকখানি রিল্যাক্স হয়ে যায়। যেটা খিঁচুনি অনেকাংশে কম করে।

৩. পিরিয়ড চলাকারীন সময়ে অনেকেই মানসিক অবসাদে ভোগেন। দেখা দেয় মানসিক চাপ। বিশেষ করে যখন যন্ত্রণা হয়, তখন মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। সঙ্গীর সঙ্গে যৌনতা সেই মানসিক চাপ অনেকটাই দূর করে।

৪. পিরিয়ডের যন্ত্রণায় রাতে অনেকে ঘুমাতে পারেন না এমন অনেকে আছেন। তবে পিরিয়ড চলাকালীন শারীরিক সম্পর্ক, দেহে হরমোন নিঃসরণ সংক্রান্ত যে পরিবর্তনগুলো হয়, তার ফলে যন্ত্রণার প্রকোপ কিছুটা কমে। ঘুম বাড়ে।

তবে পৃথিবীর প্রায় সব ধর্মমতেই পিরিয়ডের সময় শারীরিক সম্পর্কের কথা নিষেধ করেছে। তাই সামাজিক ও শারীরিক সূচিতা রক্ষার জন্য পিরিয়ডের সময় শারীরিক সম্পর্ক না করাই ভালো।

সূত্র: ভারতীয় গণমাধ্যম জি টুয়েন্টি ২৪

আরও পড়ুন : শারীরিক সমস্যা থাকলে কোভ্যাক্সিন নিতে নিষেধ

আরও পড়ুন : ওজন কমে কাঁদলে