reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১৭ জানুয়ারি, ২০২১

বঙ্গভ্যাক্স’র ট্রায়ালের আবেদন

বাংলাদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেকের উদ্ভাবিত কোভিড-১৯-এর ভ্যাকসিন বঙ্গভ্যাক্স মানব শরীরে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের (ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের) আবেদন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। অনুমোদন পেলে ট্রায়ালের জন্য সাত থেকে দশদিনের মধ্যে ঢাকার যেকোন একটি বেসরকারি হাসপাতালে একশর মত স্বেচ্ছাসেবকের উপর টিকাটি প্রয়োগ করা হবে।

রোববার মহাখালীতে বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলে (বিএম‌আরসি) এ আবেদন জমা দেওয়া হয়।

গ্লোব বায়োটেকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাঁকন নাগ গণমাধ্যমকে বলেন, ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরুর আবেদনটি তাদের পক্ষ থেকে করেছে ক্লিনিক্যাল রিসার্চ অর্গানাইজেশন লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান। এটি বাংলাদেশের ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদিত একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে। যার স্পন্সর করছে গ্লোব বায়োটেক।

এ বিষয়ে কাঁকন নাগ বলেন, 'ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালটি তৃত্বীয় পক্ষের মাধ্যমে করতে হয়, সেই তৃতীয় পক্ষ হিসেবেই কাজ করছে ক্লিনিক্যাল রিসার্চ অর্গানাইজেশন লিমিটেড।'

গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদসহ গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের কর্মকর্তারা বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিএম‌আরসিতে ইথিক্যাল ক্লিয়ারেন্সের আবেদন জমা দিতে আসেন।

এর আগে গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডকে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদনের অনুমতি দেওয়া হয়।

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শতাধিক কোম্পানি টিকা তৈরির চেষ্টায় আছে, সেই দৌড়ে থাকা একমাত্র বাংলাদেশি কোম্পানি গ্লোব বায়োটেক।

শুরুতে গ্লোবের ভ্যাকসিনের নাম ‘ব্যানকোভিড’ থাকলেও ডিসেম্বরে তা পরিবর্তন করে ‘বঙ্গভ্যাক্স’ রাখা হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তদারকিতে থাকা ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্যায়ের ৪২টি ভ্যাকসিন এবং ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের আগের অবস্থায় (প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল) রয়েছে ১৫৬টি টিকা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ওই তালিকায় রয়েছে গ্লোব বায়োটেকের টিকার নামও।

করোনা মহামারি বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের ৩ জুলাই তেজগাঁওয়ে গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে গ্লোব বায়োটেকের পক্ষ থেকে করোনাভাইরাসের টিকা তৈরির চেষ্টার ঘোষণা দেওয়া হয়।

পরে ১০ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ইঁদুরের ওপর প্রয়োগ করে তাদের ওই সম্ভাব্য টিকা ‘কার্যকর ও সম্পূর্ণ নিরাপদ’ প্রমাণিত হয়েছে।

টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য আইসিডিডিআর’বির সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) করলেও পরে তা বাতিল করে গ্লোব বায়োটেক।

গত ১ ডিসেম্বর গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ চুক্তি বাতিলের কথা জানিয়ে বলেন, আইসিডিডিআর’বির অনাগ্রহ দেখে তারা ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বঙ্গভ্যাক্স,করোনাভাইরাস,গ্লোব বায়োটেক
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close