বাড়ির কাজে এগিয়ে আসুক খুদেরাও
বাড়ির কাজে বাচ্চাদের হাত দেওয়া উচিৎ কিনা এই নিয়ে বরাবরই বিতর্ক ছিল। কারণ তারা মনে করেন বাচ্চাদের শৈশবটা হেসে খেলেই উপভোগ করতে দেওয়া উচিত। আবার অনেকেই ভাবেন এখন থেকে আস্তে আস্তে দায়িত্ববোধ গড়ে তোলা উচিত। একটা পরিবার কীভাবে শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে থাকে তাই শেখানো উচিত। দিন বদলেছে। বদলেছে ধারণা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাড়ির কাজে বড়দের হাতে হাতে সাহায্য করুক বাচ্চারাও। ঠিক, ভুল যাই করুক...তবুও কিছু কাজ ওরাও শিখুক। আর আপনার সন্তান যদি আপনার সঙ্গে গাছে পানি দেয় কিংবা জামা কাপড় ভাঁজ করতে সাহায্য করে তাহলে তা কিন্তু মোটেও খারাপ নয়। ছোট চারাগাছকে ছোট থেকেই যত্ন করলে তবে সে একদিন বড় হয়ে ফল দেয়, ছায়া দেয়। বাচ্চারাও কিন্তু সেইরকম। ছোট থেকেই এই বিশ্বাসগুলো বাচ্চাদের মধ্যে আত্মনির্ভরতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। পরিবারের মল্যবোধ বুঝতে শেখে।
জামা কাপড় ভাঁজ করুন একসঙ্গে
যখন বাচ্চাদের সঙ্গে মিশবেন তখন ওদের কিছুতেই বুঝতে দেবেন না যে আপনি বড়। একটু ওদের মতো করে মেশার চেষ্টা করুন। গল্প করুন। সেই সঙ্গে বাচ্চাকে বোঝান নির্ভুল কাজের দরকার নেই। কিন্তু ওরা যে খুব ভালো কাজ করেছে সেই প্রশংসা করুন। আপনার প্রশংসা ওকে আরও ভালো কাজের উৎসাহ দেবে।
বাচ্চার মধ্যে দায়িত্ববোধ গড়ে তুলুন
এই লকডাউনে অনেকের বাড়িতেই সাহয্যকারী আসতে পারেননি। নিজের কাজ নিজেরাই সেরেছেন। ধরা যাক কুশান কভার গুলো পরাচ্ছেন, কিংবা জানালার ধুলা ঝাড়ছেন। সেই কাজে সঙ্গী করুন ছোট্ট সোনাকেও। হাতে একটা কাপড়ের টুকরো দিয়ে আপনার সঙ্গে ডাস্টিং করতে বলুন। কিংবা পছন্দের ক্রিম, লোশনের বোতল দিয়ে বলুন সব একটু নিজের মতো করে গুছিয়ে রাখতে। কখনই বলবেন না যে হচ্ছে না, বা ইস এটা কেন তুমি ভেঙে ফেললে। বরং দুজনে মিলে একটা টিম তৈরি করে কাজ করুন।
খেলনা গুছিয়ে রাখুক বাচ্চারাই
বাচ্চারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে খেলবে। এটাই নিয়ম। এতে কখনও বাধা দেবেন না। ঘর কেন এত নোংরা এই নিয়ে বিরক্ত হবেন না। বরং বলবেন খেলা হলে নিজেকেই সব খেলনা গুছিয়ে রাখতে হবে। কিংবা বাড়ির শোকেশে নিজেই গুছিয়ে রাখবে। এতে যেমন গুছিয়ে রাখার অভ্যাস তৈরি হবে তেমনই মাথারও বিকাশ ঘটবে। বাড়বে সাধারণ জ্ঞান।
খুব সহজেই কিছু পাওয়া যায় না
বাচ্চা জেদ করলেই ওর হাতে দামি খেলনা বা পছন্দের জিনিস তুলে দেবেন না। বরং শেখান সব কিছু কষ্ট করে অর্জন করতে হয়। বাচ্চাকে কোনও একটা কাজ দিন। বলুন এই কাজ ভালো করে করলেই মিলবে পুরস্কার। এছাড়াও ছোট ছোট কাজে মাঝেমধ্যেই উপহার দিন। কখনও চকোলেট, কখনও বই, কখনও রং পেন্সিল। এতে কাজের প্রতি উৎসাহ বাড়বে। তৈরি হবে মূল্যবোধ। খুব সহজেই কিংবা চাইলেই যে সব পাওয়া যায় না এই বোধ টা তৈরি হওয়া খুব জরুরি।
পিডিএসও/ জিজাক