মুফতি ইব্রাহিমের ১৫ মাসের কারাদণ্ড
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির দিনে ট্রাইব্যুনালে দোষ স্বীকার করেছেন বিতর্কিত বক্তা মুফতি কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিম।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক একেএম জুলফিকার হায়াতের আদালতে তিনি দোষ স্বীকার করেন।
অভিযোগ গঠনে দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করায় আদালত গ্রেপ্তারের পর থেকে এ পর্যন্ত কারাভোগকে সাজা হিসেবে প্রদান করেন। এক বছর তিন মাস কারাগারে থাকার সময়কাল সাজা হিসেবে দেওয়া হয়েছে।
গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর লালমাটিয়ার জাকির হোসেন রোডের বাসা থেকে মুফতি কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে আটক করে ডিবি পুলিশ।
জানা যায়, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর এজেন্ট, হিন্দুস্তানের দালাল, করোনা টিকা নিয়ে অপপ্রচার, জন্মনিয়ন্ত্রণ হারাম ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ডাকাত বলাসহ বিভিন্ন সময় উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসেন মুফতি কাজী ইব্রাহিম। তার বিরুদ্ধে চ্যানেল আইয়ের উপস্থাপক মাওলানা ফারুকী খুনের পরিকল্পনারও অভিযোগ রয়েছে। ওই সময়ে তাকে আসামি করে একটি নালিশি মামলাও হয়েছিল।
কয়েক বছর ধরে মুফতি ইব্রাহিম বিতর্কিত এমন সব বক্তব্য দিয়ে মানুষের কাছে পরিচিতি লাভ করেন। ধর্মীয় বক্তা হলেও তার এসব বক্তব্যের ধর্মীয় ও বৈজ্ঞানিক কোনো দালিলিক প্রমাণ পাওয়া যায় না। তার এসব বক্তব্যে জনমনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
পিডিএস/এমএইউ