গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ
বাস ও মিনিবাসসহ গণপরিবহনের ভাড়ার তালিকা সহজে দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (২৪ জানুয়ারি) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
রুলের জবাব দিতে সড়ক পরিবহন ও সেতুসচিব, সহকারী সচিব, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান ও পরিচালকসহ (প্রকৌশল) বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইন অনুসারে বিধিমালা প্রণয়ন না করে বাস-মিনিবাসসহ গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আবু তালেব ৪ জানুয়ারি ওই রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী মো. আবু তালেব নিজেই শুনানি করেন, সঙ্গে ছিলেন মোখলেসুর রহমান ও মুসতাসীম তানজীর।
আদেশের বিষয়টি জানিয়ে পরে আইনজীবী মো. আবু তালেব বলেন, বাস থামার প্রতিটি নির্দিষ্ট জায়গায় প্রকাশ্যে ও যাত্রীদের কাছে সহজে দৃশ্যমান স্থানে ভাড়ার তালিকা প্রকাশ ও ইলেকট্রনিক বিলবোর্ডের মাধ্যমে ওই তালিকা প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাস ও মিনিবাসসহ গণপরিবহনে নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ও কার্যকর ব্যবস্থা নিতেও বিটিআরসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রুলে ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইনের ১২২ ধারা অনুযায়ী বাস, মিনিবাস তথা গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধিসংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নে ব্যর্থতা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।