কার্টুনিস্ট কিশোরকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন নাকচ
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরের রিমান্ড নামঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম এ আদেশ দেন।
এদিন কিশোরের জামিনের জন্য কোনো আবেদন ছিল না।
কিশোরের অনুপস্থিতিতেই আদালতে রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি হয়। তার আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া আসামিকে হাজির না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালতের কাছে সংশ্লিষ্টদের শাস্তি চান।
সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার পরে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে রিমান্ডে নিতে নতুন করে আবেদন করার কোনো এখতিয়ার পুলিশের নেই। কেন তাকে (কিশোর) আদালতে হাজির করা হলো না সে বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষজনক কোনো জবাব দিতে পারেনি।’
র্যাব হেফাজতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের বিষয়ে মহানগর দায়রা জজ আদালতে অভিযোগ করার জন্য কিশোরকে আদালতে হাজির করার আবেদন জানানো হয় আসামিপক্ষ থেকে।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ৬ মে কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর র্যাব-৩ এর সদস্যদের হাতে গ্রেপ্তার হন। লালমাটিয়ার বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পরে কয়েকজন র্যাব সদস্য তাকে অমানুষিক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন। ফলে তিনি দুই কানের ভেতরে ও বাম পায়ে আঘাত পান। ২০১৩ সালের নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন অনুযায়ী যা সুনির্দিষ্ট ফৌজদারি অপরাধ।
ঢাকা অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আবু বক্কর সিদ্দিকের আদালতে এই আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) উপপরিদর্শক ও মামলাটির নতুন তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আফছর আহমেদ ২৩ ফেব্রুয়ারি কিশোর ও লেখক মুশতাক আহমেদের তিন দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছিলেন।
আবেদনপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, আহমেদ কবির কিশোর ও মুশতাক আহমেদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে রাষ্ট্রবিরোধী ও সরকারবিরোধী বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার তথা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে কার্টুন বা ব্যঙ্গ চিত্র এঁকে সুনাম ক্ষুণ্ন করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির অভিযোগ রয়েছে।
গত বছর কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর ও লেখক মুশতাক আহমেদকে রাজধানীর কাকরাইল ও লালমাটিয়া থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। কিশোর ও মুশতাকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রমনা থানায় মামলা করা হয়।
বৃহস্পতিবার কারাবন্দী মুশতাক মারা যান। পরদিন তাকে সমাহিত করা হয়।
পিডিএসও/ জিজাক