আগামীকালের মধ্যে চাকরির বয়স ৩৫ করার আল্টিমেটাম
আন্দোলনকারীরা আগামীকাল সোমবারের (২১ অক্টোবর) মধ্যে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করে প্রজ্ঞাপন জারি করার আল্টিমেটাম দিয়েছেন।
রবিবার (২০ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতিতে সংবাদ সম্মেলনে এ আল্টিমেটাম দেন ৩৫-এ চাকরির প্রত্যাশীরা।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন থেকে আমাদের এ দাবি ঝুলে আছে। নানা বাহানায় আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে। কিছুদিন আগে যমুনায় আমাদের ওপর হামলাও করে পুলিশ। আমাদের দাবি, সুযোগ সবাইকে দিতে হবে। আমরা ৩৫ কার্যকর করেই ঘরে ফিরবো।
সম্মেলনে খাদিজা আক্তার বলেন, ১২ বছর ধরে আমরা এ দাবি জানিয়ে আসছি। আজ নয়তো কাল, কাল নয়তো পরশু এভাবে দিনের পর দিন আমাদের ঘোরানো হয়েছে। ৩৫ আমাদের প্রাণের দাবি। কিছুদিন আগে প্রজ্ঞাপনের কথা বলে এখনও সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসেনি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ৩৫ দাবিটি মেনে নিতেই হবে।
এসময় বক্তারা জানান, আন্দোলনকারীরা আগামীকাল শাহবাগে অবস্থান নেবেন। যদি আগামীকালের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করা না হয় কর্মসূচি কঠোর থেকে কঠোরতর হবে। কোনও অনাকাক্ষিত ঘটনা ঘটলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা দায়ী থাকবে না বলে এমন মন্তব্য করেন আন্দোলনকারীরা।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি পর্যালোচনা করতে একটি কমিটি গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। এ কমিটির প্রধান সাবেক সচিব আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী। তিনি জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনেরও প্রধান।
গত ১৪ অক্টোবর সচিবালয়ে আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, তারা সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা পুরুষের ক্ষেত্রে ৩৫ বছর এবং নারীদের ক্ষেত্রে ৩৭ বছর করার সুপারিশ করেছেন। তবে চূড়ান্ত বিচারে চাকরিতে প্রবেশের বয়স কত হবে তা নির্ভর করবে সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।