
সুদানে ভয়াবহ সংঘাতে নিহত ৬৫

সুদানে ভয়াবহ হামলা ও সংঘাতে অনন্ত ৬৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ১৩০ জনেরও বেশি। দেশটির দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলে লড়াইয়ে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি ও ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।
এএফপি বলছে, উত্তর আফ্রিকার এই দেশটিতে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে সামরিক ও আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যে বিধ্বংসী যুদ্ধ চলছে। সোমবার দক্ষিণ ও পশ্চিম সুদানে ভয়াবহ লড়াইয়ে অন্তত ৬৫ জন নিহত এবং ১৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এর মধ্যে দেশটির সাউথ কর্ডোফান প্রদেশের রাজধানী কাদুগলিতে কামানের গোলাবর্ষণে কমপক্ষে ৪০ জন নিহত এবং ৭০ জন আহত হয়েছেন বলে দুটি চিকিৎসা সূত্রে জানা গেছে।
সুদানের সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রিত এই শহরে আক্রমণের ঘটনায় আবদেল আজিজ আল-হিলুর নেতৃত্বাধীন সুদান পিপলস লিবারেশন মুভমেন্ট-নর্থ (এসপিএলএম-এন)-এর একটি দলকে দায়ী করেছেন গভর্নর মোহাম্মদ ইব্রাহিম। তিনি এএফপিকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘কাদুগলিতে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হিলুর হামলার উদ্দেশ্য’ হচ্ছে এলাকাটিকে অস্থিতিশীল করা। তিনি বিদ্রোহী বাহিনীর কবল থেকে ‘কাদুগলির চারপাশের পাহাড়গুলো সাফ’ করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
গভর্নর বলেছেন, স্থানীয় একটি বাজারকে লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এসপিএলএম-এন তাদের যুদ্ধের সময় সাউথ কর্ডোফানের বিভিন্ন অংশে সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) উভয়ের সাথেই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে।
সুদান ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সংঘাতে জর্জরিত হয়েছে, তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দেশটির নিয়মিত সেনাবাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে যুদ্ধের তীব্রতা বেড়েছে।
এদিকে দারফুরের বিস্তীর্ণ পশ্চিমাঞ্চলে দক্ষিণ দারফুরের রাজধানী নিয়ালায় সামরিক বিমান হামলায় সোমবার ২৫ জন নিহত এবং আরো ৬৩ জন আহত হয়েছেন বলে একটি মেডিকেল সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে।