অনলাইন ডেস্ক
ইসরায়েল-হিজবুল্লাহর যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানাল ইরান
ইসরায়েল ও লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যকার যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়েছে ইরান।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমায়েল বাঘায়ি এক বিবৃতিতে এ স্বাগত জানান। খবর আনাদোলু এজেন্সি
লেবাননের সরকার এবং জনগণের প্রতি ইরানের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলের যুদ্ধবিগ্রহ এবং অপরাধে যুক্তরাষ্ট্র এবং কিছু ইউরোপীয় সরকারের সর্বাত্মক সমর্থন রয়েছে। ফলে গাজা উপত্যকা এবং লেবাননে নিরীহ বেসামরিক লোকের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া এবং লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
এ সময় তিনি এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য এবং ইসরায়েলকে গাজায় আগ্রাসন বন্ধ করতে চাপ দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্বের ওপর জোর দেন।
এদিকে এই যুদ্ধবিরতিকে ‘সুসংবাদ’ বলে অভিহিত করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এই চুক্তির উদ্দেশ্য ‘শত্রুতা স্থায়ীভাবে বন্ধ’ করা। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে লেবানিজ সেনাবাহিনী ‘তাদের নিজস্ব অঞ্চলের’ নিয়ন্ত্রণ নেবে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেছেন, ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি বেসামরিক জনগণকে কিছুটা স্বস্তি দেবে। একইসঙ্গে গাজায়ও যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে, মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি অনুমোদন করেছে। বুধবার ভোর চারটা যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। খসড়া চুক্তি অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি ৬০ দিন চলবে। এর মধ্য দিয়ে ১৪ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েল-লেবানন যুদ্ধ শেষ হলো।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। পরদিন দখলদার ইসরায়েলের অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে রকেট ছোড়া শুরু করে হিজবুল্লাহ। এর জবাবে ইসরায়েলও লেবাননে হামলা শুরু করে।
তবে, হিজবুল্লাহর যোদ্ধাদের সীমান্ত এলাকা থেকে পুরোপুরি সরিয়ে দিতে চলতি বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর লেবাননে স্থল হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।