সিরিয়ার ৯ লক্ষ্যবস্তুতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা
সিরিয়ার ৯টি লক্ষ্যবস্তুতে বড় ধরনের বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের দাবি, ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে লক্ষ্য করে এ হামলাগুলো চালানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
মার্কিন সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতির বরাতে বার্তাসংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সিরিয়ায় মার্কিন সেনাদের ওপর বেশ কয়েকটি হামলার জবাবে সিরিয়ায় এসব হামলা চালানো হয়েছে।
মূলত, ইরাক ও সিরিয়ায় ইরান সংশ্লিষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে মাঝেমধ্যেই অভিযান চালিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। একসময় উভয় দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল ইসলামিক স্টেটসহ অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো।
এর আগে, মার্কিন সৈন্যদের ওপর ভয়াবহ হামলার প্রতিশোধ হিসেবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড (আইআরজিসি) এবং তাদের সমর্থনকারী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে যুক্ত ৮৫টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র।
সবশেষ হামলার পর মার্কিন সামরিক বাহিনী বলেছে, এই হামলাগুলো যুক্তরাষ্ট্র এবং কোয়ালিশন বাহিনীর ওপর ভবিষ্যৎ হামলার পরিকল্পনা ও হামলা চালানোর জন্য ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীর সক্ষমতাকে ক্ষুণ্ন করবে।
এর আগে, গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে সিরিয়ায় মার্কিন সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ৩৫ জনের বেশি সদস্য নিহত হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) সেসময় জানিয়েছিল, সিরিয়ার সমগ্র অঞ্চল ও এর বাইরে বেসামরিক নাগরিকদের পাশাপাশি মার্কিন মিত্র ও তার অংশীদারদের বিরুদ্ধে আইএসের হামলার পরিকল্পনা, সংগঠিত হওয়া ও হামলার সক্ষমতাকে ব্যাহত করেছে ওই হামলা।
প্রসঙ্গত, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করার জন্য ২০১৪ সালে গঠিত আন্তর্জাতিক আইএস-বিরোধী জোটের অংশ হিসেবে সিরিয়ায় মার্কিন সেনাবাহিনীর প্রায় ৯০০ ও ইরাকে আড়াই হাজার সৈন্য মোতায়েন করা হয়। এই সৈন্যরা এখনও দেশ দুটিতে অবস্থান করছেন। মার্কিন সামরিক বাহিনী প্রায়ই সিরিয়া এবং ইরাকে আইএস জঙ্গিদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে আসছে।
পিডিএস/এমএইউ