ইরানে হামলার ব্যাপারে সিদ্ধান্তহীনতায় ইসরাইল
মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরেও ইরানে হামলার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি ইসরাইল। দেশটির এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এবং টাইমস অব ইসরাইল এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাতে দেশটির নিরাপত্তা নিয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে বসলেও সেখান থেকে বড় কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
সূত্র জানায়, ‘ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়া কীভাবে দেয়া হবে, তা নিয়ে মার্কিনিদের সঙ্গে সমন্বয় করার ইচ্ছা ইসরাইলের আছে এবং উভয় পক্ষের মধ্যে কৌশলগত আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।’
গত ১ অক্টোবর তেলআবিবে ১৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। এরপর ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রতিশোধের হুঙ্কার দেন। এ নিয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে বসলেও প্রতিশোধের ধরন ও সময়সূচি নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত ইরানের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তু, যেমন -- ইরানি পারমাণবিক স্থাপনা, তেল উৎপাদন কেন্দ্র, সামরিক ঘাঁটি, ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র, অস্ত্র গুদাম এবং নেতাদের ওপর হামলার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করছেন।
এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে বুধবার নেতানিয়াহুর ফোনালাপ হয়, যেখানে তারা প্রতিশোধের বিষয়ে আলোচনা করেন। সেখান থেকে জানা যায়, দুদেশের মধ্যে এ ইস্যুতে দুরত্ব কিছুটা কমেছে। মার্কিন প্রশাসন ইসরাইলকে পরামর্শ দিয়েছে যে, তাদের প্রতিশোধ যেন অতিরিক্ত না হয়।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, ইরানও এ পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন। তারা মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের সঙ্গে দ্রুত কূটনৈতিক যোগাযোগ বাড়াচ্ছে, যাতে ইসরাইলের প্রতিশোধের মাত্রা কমানো যায়। ইরানের প্রধান সমর্থক হিজবুল্লাহও ইসরাইলের সাম্প্রতিক হামলায় দুর্বল হয়ে পড়েছে।
যদিও ইসরাইল এখনো ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা না করার নিশ্চয়তা দেয়নি, তবে উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং কাতার ইসরাইলকে তাদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
অতীতে ইসরাইলের প্রতিশোধের সামর্থ্য নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে; কিন্তু মার্কিন প্রশাসনের শঙ্কা রয়েছে যে, এ সংঘাত বৃহত্তর আঞ্চলিক যুদ্ধের দিকে নিয়ে যেতে পারে। বর্তমান পরিস্থিতিতে পুরো বিশ্বের নজর এখন ইসরাইলের সিদ্ধান্তের দিকে।
পিডিএস/এমএইউ