হপফিল্ড ও হিন্টন পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন
জন জে হপফিল্ড ও জফ্রি ই হিন্টন পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মেশিন লার্নিং সম্ভবপর করে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের জন্য তাদের এ পুরস্কার দেওয়া হয়। তাদের গবেষণা মেশিন লার্নিং ও এআই, তথা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
সোমবার বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে সুইডেনের স্টকহোম থেকে এ বছরের পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে দ্য রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস।
পদার্থবিদ্যায় নোবেলজয়ী এই দুই বিজ্ঞানী পাবেন একটি নোবেল মেডেল, একটি সনদপত্র এবং মোট ১১ মিলিয়ন বা এক কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা। এর বর্তমান বাজারমূল্য ১০ লাখ ৬৭ হাজার মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি টাকায় হবে প্রায় ১২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। দুই নোবেলজয়ীর মধ্যে এই এক কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা ভাগ হয়ে যাবে।
২০২৩ সালে পদার্থবিদ্যায় যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান আমেরিকার পিয়ের অগস্টিনি, হাঙ্গেরির ফেরেঙ্ক ক্রাউৎজ এবং ফ্রান্সের অ্যানে এলহুইলার। পদার্থবিদ্যায় ২০২৩ সালের নোবেলজয়ী তিন বিজ্ঞানীরই গবেষণার বিষয় ছিল অভিন্ন- ইলেকট্রন গতিবিদ্যা।
এর আগে গতকাল সোমবার চলতি বছরের প্রথম নোবেল ঘোষণা করা হয়। চিকিৎসাশাস্ত্রে এ বছর যৌথভাবে নোবেল জিতেছেন ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রাভকুন। দুজনই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। নোবেল প্রাইজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মাইক্রো আরএনএ আবিষ্কার এবং পোস্ট ট্রান্সক্রিপশন জিন নিয়ন্ত্রণ-এ অবদান রাখায় তাদের এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দেওয়া হলো পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল।
৯ অক্টোবর: রসায়ন ক্যাটাগরির বিজয়ীর নাম জানা যাবে। পুরস্কারটি ঘোষণা করা হবে রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স থেকে।
১০ অক্টোবর: এদিন ঘোষণা করা সাহিত্য ক্যাটাগরির পুরস্কার।
১১ অক্টোবর: নোবেলের সবচেয়ে আকর্ষণীয় শান্তি পুরস্কার বিজয়ীর নাম জানা যাবে। বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে নরওয়ের নোবেল ইনস্টিটিউট থেকে।
১৪ অক্টোবর: ছয় নম্বর এবং সর্বশেষ অর্থনীতি ক্যাটাগরির পুরস্কার ঘোষণা করা হবে এদিন। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে এ বছর শেষ হবে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা।
১৯০১ সাল থেকে দেওয়া হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার নোবেল। এ পুরস্কারটির নামকরণ করা হয়েছে সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নাম অনুসারে। ঊনবিংশ শতকের এই বিজ্ঞানী শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিনামাইট আবিষ্কার করে বিপুল অর্থের মালিক হয়েছিলেন। তিনি উইল করে গিয়েছিলেন যে তার যাবতীয় অর্থ থেকে যেন প্রতি বছর পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা, শান্তি ও সাহিত্য— এই ৫টি খাতে বিশেষ অবদান রাখা ব্যক্তিদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। এই পুরস্কারের নামকরণ হবে তার নামে। ১৯৬৯ সাল থেকে এই ৫ বিভাগের সঙ্গে যুক্ত হয় অর্থনীতিও।