
প্রতিরক্ষা জন্য ইউক্রেনকে আরো অস্ত্র সহায়তা দেবে ন্যাটো

যুদ্ধে রাশিয়াকে মোকাবিলা করতে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বিভাগকে জোরদার করতে দেশটিকে কমপক্ষে ৪৩ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ন্যাটে নেতারা। আগামী বছরের মধ্যে ইউক্রেনকে এই সহায়তা সরবরাহ করা হবে। এসময় আনুষ্ঠানিকভাবে কিয়েভকে পশ্চিমা সামরিক এই জোটে সদস্যপদ পাওয়ার জন্য একটি ‘অপরিবর্তনীয় পথ’ও ঘোষণা করেছেন তারা। বুধবার (১০ জুলাই) ওয়াশিংটনে একটি ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনের পর চূড়ান্ত এই ঘোষণাটি আসে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এই খবর জানিয়েছে।
চূড়ান্ত ওই ঘোষণাপত্রে, জোটের সদস্যরাও ইউক্রেন এবং ইউরোপের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য পৃথক এবং যৌথ পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডস এবং ডেনমার্ক ঘোষণা করেছে, এই গ্রীষ্মের মধ্যে ন্যাটোর দেওয়া প্রথম এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ইউক্রেনের সামরিক পাইলটদের হাতে থাকবে। যুক্তরাষ্ট্র আরও বলেছে, ২০২৬ সালে জার্মানিতে দীর্ঘ-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করবে তারা। মিত্ররা বলছে, ইউরোপের জন্য রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবিলা করার লক্ষ্যে এটি একটি বড় পদক্ষেপ।
এই পদক্ষেপের ফলে শীতল যুদ্ধের পর থেকে সবচেয়ে শক্তিশালী মার্কিন অস্ত্র পেতে যাচ্ছে জার্মানি। এই পদক্ষেপটি ১৯৮৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন স্বাক্ষরিত ইন্টারমিডিয়েট রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস চুক্তির অধীনে নিষিদ্ধ করা হতো। তবে এটি ২০১৯ সালে ভেঙে যায়।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনীকে শক্তিশালী করার জন্য ন্যাটোর প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে করা একটি পোস্টে তিনি বলেছেন, নতুন যুদ্ধবিমানগুলো ‘ন্যায্য ও স্থায়ী শান্তিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে। সন্ত্রাস অবশ্যই ব্যর্থ হবে।
পিডিএস/এমএইউ