হিজাব না পরায় ইরানে বন্ধ তার্কিস এয়ারলাইন্সের অফিস
ইরানের রাজধানী তেহরানে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তার্কিস এয়ারলাইন্সের অফিস।নারী কর্মীরা হিজাব পরতে না চাওয়ার কারণে অফিসটি বন্ধ করে দেওযা হয়। ইরানে কর্মক্ষেত্র ও বাড়ির বাইরে সব নারীর হিজাব পরার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
আধা-সরকারি বার্তাসংস্থা তাসনিম নিউজ জানিয়েছে গত সোমবার (৮ জুলাই) তার্কিস এয়ারলাইন্সের অফিসে যায় পুলিশ সদস্যরা। ওইদিন হিজাব পরতে নারী কর্মীদের সতর্কতা দিতে যান তারা।
কিন্তু নারী কর্মীরা পুলিশের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এতে করে পুলিশ অফিসটি বন্ধ করে দেয়। তার্কিস এয়ার তুরস্কের বিমান সংস্থা হলেও তাদের ইরানের অফিসে যেসব নারী কাজ করেন তারা ইরানের নাগরিকই।
তাসনিম নিউজ জানিয়েছে, তার্কিস এয়ারলাইন্স বুধবার থেকে স্বাভাবিকভাবে তাদের অফিসের কার্যক্রম চালাতে পারবে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো কিছু নিশ্চিত করা হয়নি।
বার্তাসংস্থাটি আরও জানিয়েছে, কর্মীরা হিজাব না পরার কারণে পরবর্তীতে আর কোনো অফিসও বন্ধ করবে না পুলিশ। এর বদলে তারা সতর্কতা দিয়ে আসবে।
তেহরানের এই ঘটনা নিয়ে তার্কিস এয়ারলাইন্স তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
কর্মীরা হিজাব না পরায় ইরানে গত কয়েক বছরে রেস্তোরাঁ, দোকান, ফার্মেসিসহ অসংখ্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ইরানে হিজাব পরার কঠোর আইন রয়েছে। কেউ যদি বাইরে বের হয় তাহলে তাকে অবশ্যই মাথার চুল ঢেকে বের হতে হবে। কেউ আইন অমান্য করলে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে।
২০২২ সালে দেশটির নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে মাহসা আমিনী নামের এক তরুণীর মৃত্যু হয়। এরপর পুরো ইরানে হিজাব বিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ হয়।