
ইরাকি বিদ্রোহীদের ওপর আবারও তুরস্কের বিমান হামলা

ইরাকের উত্তরাঞ্চলে কুর্দি বিদ্রোহীদের ওপর আবারও বিমান হামলা চালিয়েছে তুরস্ক। তুর্কি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আত্মঘাতী হামলার ঘটনার দু’দিনের মাথায় আবারও এই হামলা চালানো হয়। এতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ওই গোষ্ঠীর বেশ কিছু স্থাপনা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৪ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্কের সামরিক বাহিনী ইরাকের উত্তরাঞ্চলে নতুন করে বিমান হামলা চালিয়েছে এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) ১৬টি লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করে দিয়েছে বলে তুরস্কের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় সময় ৮ টায় মেটিনা, গারা, হাকুরক, কান্দিল এবং অ্যাসোস অঞ্চলে বিমান হামলার মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে তুরস্কের এই মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এছাড়া বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে এই হামলার সময় বেসামরিক এবং পরিবেশের ক্ষতি এড়াতে সকল ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল বলেও জানানো হয়েছে।
এর আগে তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় গত রোববার সকালে ভয়াবহ বোমা হামলা চালায় দুই সন্ত্রাসী। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভবনের সামনে এই আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়। এতে দুই হামলাকারী ছাড়া আর কেউ নিহত হয়নি। তবে দ্বিতীয় হামলাকারীকে হত্যার আগে তুরস্কের দুই পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন।
সন্ত্রাসী গোষ্ঠী পিকেকে ওই হামলার দায় স্বীকার করে। পরে রোববারই ইরাকের উত্তরাঞ্চলে কুর্দি বিদ্রোহীদের ওপর বেশ কয়েক দফায় বিমান হামলা চালায় তুরস্ক। পিকেকে-এর ব্যবহৃত গুহা, ডিপো এবং বাঙ্কারকে লক্ষ্য করে সেদিনের সেই বিমান হামলায় ২০টি লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করে দেওয়া হয়।
আল জাজিরা বলছে, ১৯৮৪ সাল থেকে তুরস্কে হামলা চালিয়ে আসছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী পিকেকে। তাদের এই হামলায় হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া নিজেদের এসব কর্মকাণ্ডের কারণে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) তুরস্ক, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রসহ আঙ্কারার মিত্র দেশগুলোতে ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ হিসাবে তালিকাভুক্ত।
অবশ্য তুরস্কের ধারাবাহিক সামরিক অভিযানের কারণে এই গোষ্ঠীটি বর্তমানে প্রতিবেশী ইরাকে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। আর তাই বিদ্রোহীদের দমন করতে সেখানে হামলা চালিয়ে থাকে তুর্কি বাহিনী।
পিডিএস/এমএইউ