কঠিন সময়ে ইউক্রেনের পাশে নেই বন্ধু দেশ পোল্যান্ড
কদিন আগেও ইউক্রেনের অন্যতম মিত্র ছিল প্রতিবেশী পোল্যান্ড। রাশিয়ার বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে কিয়েভকে সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছিল ওয়ারশ। তবে শস্য নিয়ে দেশ দুটির সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। নিজেদের উৎপাদিত কৃষিপণ্যের অস্তিত্ব টেকাতে ইউক্রেনের শস্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিতে বাধ্য হয় পোল্যান্ড। তার আগে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার ঘোষণাও দেয় পোলিশ সরকার। আর এতেই দুই মিত্রের মধ্যে তৈরি হয় দূরত্ব। শুরু হয় কথার লড়াই।
অটোয়া থেকে কিয়েভ যাওয়ার পথে শনিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পোল্যান্ডে কিছু সময়ের জন্য নেমে দুই পোলিশ স্বেচ্ছাসেবককে রাষ্ট্রীয় পুরষ্কারে ভূষিত করেন। এ সময় তাকে স্বাগত জানাতে আসেননি কোনো পোলিশ সরকারি কর্মকর্তা। কাজ শেষে অনেকটা নীরবেই নিজ দেশে ফিরে যান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে পশ্চিমের জোরাল সমর্থন পাওয়া জেলেনস্কি তার ভাষণে পোল্যান্ডের কড়া সমালোচনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘ইউরোপে ইউক্রেনের কিছু বন্ধু যেভাবে আরচণ করছে, তা উদ্বেগজনক। তারা রাজনৈতিক মঞ্চে শস্য নিয়ে একটি রোমাঞ্চকর নাটক তৈরি করেছে।’ এ সময় শস্য রপ্তানির জন্য কিয়েভ স্থলপথগুলো বিবেচনা করছে বলেও জানান জেলেনস্কি।
বিশ্বনেতাদের সামনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের এমন খোঁচায় চুপ থাকেনি পোল্যান্ড সরকার। নির্বাচনী প্রচারে শুক্রবার ডানপন্থি পোলিশ প্রধানমন্ত্রী মাতেউস মোরাউইকি তার দেশের জনগণকে অপমান না করার হুশিয়ারি দেন।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় পুরষ্কার পাওয়া দুজন হলেন সাংবাদিক বিয়াঙ্কা জালেউস্কা এবং স্বাস্থ্যকর্মী ড্যামিয়ান ডুদা। জালেউস্কা আহত শিশুদের পোলিশ হাসপাতালে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছিলেন। আর ডুদা আহত সেনাদের সাহায্য করার জন্য একটি মেডিকেল দল গঠন করেছিলেন।
দুজনকে সম্মানে ভূষিত করার পর জেলেনস্কি পোল্যান্ডবাসীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধের শুরু থেকেই পোলিশ নাগরিকরা আমাদের পাশে ছিলেন। সাহায্যের হাত বাড়িয়েছিলেন। আমাদের টেনে নিয়েছিলেন। আপনাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।’
পিডিএস/মীর