প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গু আক্রান্ত ছাড়াল ৩০ হাজার
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে গত জানুয়ারি থেকে চলতি মাসের ১৩ তারিখ পর্যন্ত ৩০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। রাজ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক গণমাধ্যম। রাজ্য সরকারও রবিবার এ নিয়ে প্রথমবার মুখ খুলেছে। তারা জানিয়েছে, ঠিক এ মুহূর্তে রাজ্যে দেড় হাজার রোগী ভর্তি আছেন।
পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গুর সংক্রমণ নিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর এতদিন মুখ খোলেনি। বরং আগস্টের শেষ সপ্তাহে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের এক বৈঠকে জেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য কমকর্তাদের হুশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছিল, তথ্য বের হলে সিআইডির তদন্ত হবে তাদের বিরুদ্ধে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর ডেঙ্গু প্রশ্নে মুখে কুলুপ এঁটে বসেছিল। এর ফলে ডেঙ্গু সংক্রমণ, আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা জানা যাচ্ছিল না। কিন্তু এখন ডেঙ্গুর সংক্রমণ দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় আর চুপ থাকতে পারেনি রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বিদেশে থাকায় রাজ্যের প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা স্বরাষ্ট্রসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা এবং স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম রবিবার রাজ্যের বিভিন্ন জেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন।
পরে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে এখন ১ হাজার ৫০০ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৫ জনের অবস্থা গুরুতর। এখন প্রতিটি মৃত্যুর ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
যদিও বেসরকারি সূত্র উল্লেখ করে সংবাদমাধ্যম বলেছে, এই রাজ্যে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের। তবে সরকারি সূত্রে এই সংখ্যা মাত্র তিন। এর ফলে এদিন স্বরাষ্ট্রসচিব গোপালিকা আরো জানান, রাজ্যের ১৬০টি সরকারি হাসপাতাল ও ৯৮টি পৌরসভার চিকিৎসাকেন্দ্রে এখনো নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে তিনি এ কথাও বলেছেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর সংক্রমণের হার তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের সূত্র উল্লেখ করে সোমবার কলকাতার সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, রাজ্যের ৯ লাখ মানুষের ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন এই রাজ্যের উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ ও মালদহ জেলায় ডেঙ্গুর সংক্রমণ বাড়ছে।
পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী জেলায় ডেঙ্গু নিয়ে সতর্কতা বাড়ানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
পিডিএস/মীর