reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কর্মকর্তা অবাঞ্ছিত

মালি মিশনে নিয়োজিত জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর আইভরিয়ান সৈন্য। এএফপির ফাইল ছবি

মালির সামরিক সরকার জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) তাকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মালি ছেড়ে যেতে বলা হয়। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ব্রিফিংয়ে মালির সমালোচনা করার পর বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এক বিবৃতিতে মালি সরকারের মুখপাত্র কর্নেল আবদুলাই মাইগা অভিযোগ করেন, মালির বিষয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ব্রিফিংয়ে সুশীল সমাজের সাক্ষী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্ব করেছেন শান্তিরক্ষা মিশনের মানবাধিকার বিভাগের প্রধান গুইলাউম এনগেফা আটোনোদোক আন্দালি।

নিরাপত্তা পরিষদের ওই ব্রিফিংয়ে মানবাধিকার কর্মী আমিনাতো চেইক ডিকো মালির নিরাপত্তা পরিস্থিতির নিন্দা করেন। মালি সরকারের রুশ অংশীদার ওয়াগনার গ্রুপকে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত করেন তিনি।

এর আগে, গত ৩১ জানুয়ারি জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা মালির সশস্ত্র বাহিনী এবং রাশিয়ার বেসরকারি সামরিক ঠিকাদারের সংঘটিত সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানায়। এর তিন দিন আগে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের উপ-প্রতিনিধি রিচার্ড মিলস রাশিয়ার ওয়াগনারকে ‘একটি অপরাধী সংগঠন’ হিসেবে অভিহিত করে অভিযোগ করেন, তারা মালি ও অন্যান্য স্থানে ব্যাপক নৃশংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।

২০১৩ সালে মালিতে জাতিসংঘের বহুমাত্রিক সমন্বিত স্থিতিশীলতা মিশন গঠন করা হয়। মিনুসমা নামে পরিচিত এ মিশনের লক্ষ্য দেশটিতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা। তবে সাম্প্রতিক সময়ে শান্তিরক্ষা মিশন ও ক্ষমতাসীনদের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে, বিশেষ করে ২০২০ সালে এক অভ্যুত্থানে সামরিক জান্তার ক্ষমতা গ্রহণের পর।

গত বছরের আগস্টে মালির কর্তৃপক্ষ মিশনের মুখপাত্র অলিভিয়ার সালগাদোকে বহিষ্কার করে এবং মিশনের গ্রুপ রোটেশন সাময়িকভাবে স্থগিত করার আদেশ দেয়। সূত্র : ডয়চে ভেলে।

পিডিএস/মীর

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
অবাঞ্ছিত,মালি,শান্তিরক্ষা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close