reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৬ জানুয়ারি, ২০২৩

নয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ আফিম চাষ মিয়ানমারে

ছবি : সংগৃহীত

গত বছরের আগের সাত বছর মিয়ানমারের ধারাবাহিকভাবে কমেছিল আফিম চাষ। কিন্তু দেশটিতে জান্তা সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ২০২২ সালে বেড়েছে আফিম চাষ। গত নয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ আফিম চাষ হয়েছে দেশটিতে।

জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে দেশটিতে ৭৯৫ মেট্রিক টন আফিম চাষ হয়েছে। এই সংখ্যা আগরে বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। সামরিক জান্তা সরকার ক্ষমতা গ্রহণের আগের ২০২১ সালে দেশটিতে আফিস চাষ হয়েছিল ৪২৩ মেট্রিক টন। ২০২২ সালে আফিম পপি চাষের জমিও বেড়েছে। গত বছর মোট ৪০ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে আফিম চাষ হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ আফিম চাষ হয় আফগানিস্তানে। আফিম চাষে দ্বিতীয় স্থান মিয়ানমার।

গত বছর অর্থনৈতিকভাবে চাপের মুখে পড়ে মিয়ানমার। বাড়ে মুদ্রাস্ফীতি। যার ফলে চাষিরা আফিম চাষে বেশি আগ্রহী হন। জান্তা সরকার আফিম চাষিদের প্রণদনাও প্রদান করে। জাতিসংঘের তথ্য বলছে, দেশটিতে চাষ হওয়া আফিমের মূল্য প্রায় দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

জাতিসংঘের ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম অফিসের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক প্রতিনিধি জেরেমি ডগলাস বলেন, সামরিক জান্তা ক্ষমতা গ্রহণের পর দেশটিতে গণতন্ত্রকামি মানুষ আর জান্তা সরকারের মাঝে সংঘর্ষ শুরু হয়। সেখানার চাষিদের আফিম চাষের বিকল্প কিছু ছিল না। তাই তারা আফিম চাষ করেছেন।

মিয়ানমারের ইউএনওডিসির কান্ট্রি ম্যানেজার বেনেডিক্ট হফম্যান বলেন, দিনের শেষে, আফিম চাষ আসলেই অর্থনীতির বিষয়। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ছাড়া আফিম চাষ ও উৎপাদন বন্ধ করা সম্ভব হবে না। সূত্র: বিবিসি নিউজ।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
মিয়ানমার,আফিম চাষ,জান্তা সরকার,জাতিসংঘ
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close