reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩

এক মুরগির দাম ২ লাখ

ছবি: সংগৃহীত

অদ্ভুত দেখতে এ মুরগির নাম ‘ডং তাও’। তবে বেশি পরিচিত ড্রাগন চিকেন নামে। মোটা পায়ের এ মুরগির বাণিজ্যিক চাষ হয় দক্ষিণ এশীয় দেশ ভিয়েতনামে। দেশটির উত্তরাঞ্চলের একটি গ্রামের নামকরণ করা হয়েছে মুরগিটির নামে। সেখানে সবচেয়ে বেশি ড্রাগন মুরগির ফার্ম রয়েছে।

ড্রাগন মুরগির সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হলো এর পা। পুরু লালচে আবরণে ঢাকা এই পা লম্বায় হতে পারে একটি ইটের সমান। এর থাবা মানুষের হাতের তালুর আকৃতির। মুরগিটির শুধু পায়ের ওজনই এক দেড় কেজি পর্যন্ত হয়, যা এর শরীরের মোট ওজনের এক-পঞ্চমাংশ।

পুরো মুরগির ওজন ৫-৮ কেজি, কোনো কোনোটি ১০ কেজিও হয়। সবচেয়ে বড় আকারেরগুলো বাজারে ২০০০ হাজার ডলারেও বিক্রি হয়, যার মূল্য বাংলাদেশি টাকায় দুই লাখেরও বেশি। বড় পা যুক্ত, আকর্ষণীয় চেহারার ড্রাগন মুরগির চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে।

১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে ড্রাগন মুরগি চাষ করছেন লে ভ্যান হিয়েন।

তিনি বলেন, ‘এই মুরগিকে দিনের বেশ কিছুটা সময় খোলা পরিবেশে ছেড়ে রাখা হয়। এরা যত বেশি হাঁটে, তত বেশি পায়ের পেশি শক্তিশালী ও বড় হয়। আর মুরগিকে খাবার হিসেবে দেয়া হয় ভুট্টা ও চালের গুড়ো, যা এর মাংশের স্বাদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।’

চন্দ্র নববর্ষে ভিয়েতনামের অন্যতম জনপ্রিয় খাবার ‘টেট’ বানানোর প্রধান উপকরণ ড্রাগন মুরগি। ঐতিহ্যগতভাবে দেশটির ধনী পরিবারে উৎসবের দিনে এই খাবার পরিবেশন করা হয়। ড্রাগন মুরগির মাংসের রঙ তুলনামূলক কালো, অনেকটা গরুর মাংসের মতো। মাংস ছাড়াও এর পা দিয়ে রান্না করা বিশেষ খাবারও বেশ জনপ্রিয়। যা সেদ্ধ, ভাজা কিংবা লেমনগ্রাস দিয়ে পরিবেশন করা হয়। মুরগির পা যত বড়, খেতে ততই সুস্বাদু।

বিজনেস ইনসাইডারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের বিরলতম মুরগির জাতের মধ্যে একটি এই ড্রাগন মুরগি। এরা গড়ে ৬ থেকে ৭ বছর বাঁচে। প্রজনন হার খুবই কম। একটি মুরগি মাত্র ১০-১৫টি ডিম দেয়। ডিম ফুটে বাচ্চা প্রাপ্তবয়স্ক হতে সময় লাগে ৮ থেকে ১২ মাস, যেখানে সাধারণ মুরগি মাত্র ১৬ থেকে ২০ সপ্তাহ সময় নেয়। এসব কারণেই এ মুরগির বাজারমূল্য চড়া।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ড্রাগন মুরগি,লে ভ্যান হিয়েন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close