reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২

ঘূর্ণিঝড়

‘ফিওনা’য় লণ্ডভণ্ড কানাডা, বিদ্যুৎহীন লাখ লাখ মানুষ

# উঁচু জমিতে আশ্রয় # জরুরি অবস্থা জারি # সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন

বহু গাছ ও বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। ছবি : রয়টার্স

কানাডার পূর্বাঞ্চলে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফিওনা। শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ভোরের আগে ফিওনার আঘাতে বহু বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। উপড়ে গেছে গাছ। পানিতে ভেসে গেছে উপকূলের বহু বাড়ি। কানাডার দুটি প্রদেশে বিদ্যুৎহীন রয়েছেন লাখ লাখ মানুষ।

পুলিশ বলছে, এই অঞ্চলে বৃষ্টির সঙ্গে এমন ঝড় আগে কখনো দেখিনি। রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ জানিয়েছে, নিউফাউন্ডল্যান্ডে দুই নারী সাগরে ভেসে গিয়েছিল। তাদের একজনকে উদ্ধার করা হলেও অন্যজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

হারিকেন থেকে শুক্রবারের শেষের দিকে একটি পোস্ট-ট্রপিক্যাল ঝড়ে রূপান্তরিত হয় ফিওনা। তারপরও এতে হারিকেন-শক্তির বাতাস ছিল এবং বৃষ্টি ও বিশাল ঢেউ নিয়ে উপকূলে আছড়ে পড়ে।

সমুদ্রের ঢেউ নিউফাউন্ডল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলে চ্যানেল-পোর্ট অক্স বাস্ক শহরে আঘাত হানে। সেখানকার পুরো কাঠামো সমুদ্রে ভেসে গেছে। মেয়র ব্রায়ান বাটন সামাজিকমাধ্যমে বলেছেন, বাতাসের কারণে বিদ্যুতের লাইন ভেঙে পড়ায় লোকজনকে উঁচু জমিতে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

চ্যানেল-পোর্ট অক্স বাস্কের বাসিন্দা এবং রেকহাউস প্রেসের প্রধান সম্পাদক রেনে জে. রায় এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আমি বাড়িঘর সাগরে ভেসে যেতে দেখছি। সব জায়গায় ধ্বংসস্তূপ ভাসতে দেখছি। একটি অ্যাপার্টমেন্টও চলে গেছে।

রেনে জে. রায়ের আনুমানিক আট থেকে ১২টি বাড়ি ও ভবন সাগরে ভেসে গেছে। তিনি বলেন, এটি বেশ ভয়ঙ্কর।

নিউফাউন্ডল্যান্ড এবং ল্যাব্রাডোরে রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের একজন মুখপাত্র জোলেন গারল্যান্ড বাড়িঘরের সঙ্গে দুজনের সাগরে ভেসে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ জানিয়েছে, চার হাজার জনের লোকের শহরটি জরুরি অবস্থার মধ্যে রয়েছে। কর্তৃপক্ষ একাধিক বৈদ্যুতিক অগ্নিকাণ্ড এবং আবাসিক বন্যার মোকাবিলা করেছে।

প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নিহত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের শেষকৃত্যের জন্য জাপান সফর বাতিল করেছেন। ট্রুডো বলেন, ফেডারেল সরকার সাহায্যের জন্য কানাডিয়ান সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করবে।

ট্রুডো বলেন, কানাডিয়ানরা হারিকেন ফিওনা দ্বারা প্রভাবিত সবার কথা ভাবছে, যা আটলান্টিক প্রদেশ এবং পূর্ব কুইবেক, বিশেষ করে ম্যাগডালেন দ্বীপপুঞ্জে বিধ্বংসী প্রভাব ফেলছে। এমন কিছু লোক আছে, যারা তাদের বাড়ি ধ্বংস হতে দেখেছে, যারা খুব চিন্তিত—আমরা আপনার জন্য সেখানে থাকব।

হ্যালিফ্যাক্সের মেয়র মাইক স্যাভেজ বলেন, একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের ছাদ ধসে পড়েছে এবং তারা ১০০ জনকে সরিয়ে নিয়েছে। তিনি বলেন, কেউ গুরুতর আহত বা নিহত হয়নি।

নোভা স্কোটিয়ার ১০ লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছেন। এছাড়া প্রিন্স এডওয়ার্ড আইল্যান্ড প্রদেশের ৮২ হাজারের বেশি এবং নিউ ব্রান্সউইকের ৪৪ হাজারের বেশি মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছেন। সূত্র : এপি।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ঘূর্ণিঝড়,কানাডা
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close