যুক্তরাজ্যে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে লিজ ট্রাস
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের উত্তরসূরি হওয়ার লড়াইয়ের মাঠে রয়েছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক ও বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস। ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির এই দুই শীর্ষনেতার মধ্যে ২২ শতাংশ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন লিজ ট্রাস।
শনিবার (১৩ আগস্ট) অপিনিয়াম রিসার্চের এক জরিপে এ কথা জানা গেছে। খবর রয়টার্সের।
আগামী ৫ সেপ্টেম্বর জানা যাবে, বরিস জনসনের উত্তরসূরি হিসেবে কে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে পা রাখবেন।
কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যদের জরিপে দেখা গেছে যে, ঋষি সুনাকের চেয়ে ২২ শতাংশ বেশি পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন লিজ ট্রাস। এতে ৪৫০ জন পার্টির সদস্যের মধ্যে ৬১ শতাংশ সমর্থন করছেন লিজ ট্রাসকে। আর ৩৯ শতাংশের সমর্থন রয়েছে ঋষি সুনাকের ওপর।
জরিপের ফলে সুনাকের তুলনায় ট্রাস ২২ শতাংশীয় পয়েন্টে এগিয়ে আছেন। জরিপটি চালানো হয় ৮ ও ১২ আগস্ট।
ক্ষমতাসীন রক্ষণশীলদের প্রায় দুই লাখ সদস্য প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পরিবর্তে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ৫ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন। পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
জরিপে দেখা যায়, ট্রাসকে সমর্থন করার শীর্ষ তিনটি কারণ রয়েছে। অন্যদিকে সুনাকের সমর্থকরা বলেছেন,তিনি অর্থনীতিতে ভালো এবং দুই প্রার্থীর মধ্যে সবচেয়ে যোগ্য বা বুদ্ধিমান।
একের পর এক বিতর্কে জড়ান বরিস জনসন ও তার সরকার। করোনা লকডাউন চলাকালে সরকারি বাসভবন ডাউনিং স্ট্রিটে মদের আসর বসিয়ে তিনি সমালোচনার জন্ম দেন। গত মাসে তার বিরুদ্ধে দলীয় আস্থাভোট আনা হলেও তাতে পার পেয়ে যান বরিস। তবে দলে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয় ডেপুটি চিফ হুইপ হিসেবে ক্রিস পিনচারকে নিয়োগের ঘোষণা দেওয়ার পর।
সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বরিস স্বীকার করেন, ক্রিস পিনচারের অসদাচরণের অভিযোগের বিষয়টি তার জানা ছিল। তারপরও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাকে ডেপুটি চিফ হুইপ করেন তিনি। এটি ছিল তার একটা ‘বাজে ভুল’।