reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০২ আগস্ট, ২০২২

পরকীয়া করে নাক-কান কাটা গেল পুলিশ সদস্যের

ছবি: সংগৃহীত

স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগে পাকিস্তানের এক পুলিশ কনস্টেবলের নাক, কান ও ঠোঁট কেটে দিয়েছেন ওই নারীর স্বামী। ওই পুলিশ কনস্টেবলের নাম কাসিম হায়াত। তিনি পাকিস্তানের পাঞ্জাব পুলিশে কর্মরত ছিলেন।

পাক পাঞ্জাব প্রদেশের পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লাহোর থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে ঝাং জেলায় মোহাম্মদ ইফতিখার নামে এক ব্যক্তির স্ত্রীর সঙ্গে পুলিশ কনস্টেবল কাসিম হায়াতের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া ছাড়াও ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগও তোলেন ইফতিখার।

রোববার বাড়ি ফেরার সময় কাসিম হায়াতের খোঁজ পান ইফতিখার। পরে তার সঙ্গীদের নিয়ে শাস্তি হিসেবে পুলিশ কনস্টেবলের নাক, কান এবং ঠোঁট কেটে দেন তারা।

পুলিশ জানিয়েছে, বাড়ি ফেরার পথে হায়াতকে অপহরণ করে ইফতিখার ও তার সঙ্গীরা। তাকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের নাক, কান ও ঠোঁট কেটে দেন তারা। তার আগে কনস্টেবল কাসিম হায়াতকে শারীরিক নির্যাতনও করা হয়। অভিযুক্তরা সংখ্যায় ১২ জন ছিলেন।

এদিকে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই কনস্টেবলকে ঝাং জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এর আগে ইফতিখার দাবি করেছিলেন, ছেলেকে হত্যার হুমকি দিয়ে তার স্ত্রীকে অবৈধ সম্পর্কে জড়াতে বাধ্য করেছিলেন কনস্টেবল কাসিম হায়াত। বেশ কয়েকবার যৌন সম্পর্ক স্থাপনেও বাধ্য করেন এবং সে মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করেন। পরে ভিডিও দিয়ে প্রায়ই ব্ল্যাকমেইল করা হতো ইফতিখারকে।

ঘটনা জানাজানি হলে গত জুলাই মাসে কাসিম হায়াতের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন ইফতেখার। পাকিস্তান দণ্ডবিধির (পিপিসি) ৩৫৪ (নারীর ওপর হামলা), ৩৮৪ এবং ২৯২ ধারায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

এদিকে কনস্টেবলের নাক, কান এবং ঠোঁট কাটার পর গা ঢাকা দিয়েছে ইফতিখার ও তার সহযোগীরা। অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চলমান রেখেছে পুলিশ।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
পরকীয়া,পাকিস্তান,পুলিশ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close