
ফোন না ধরায় প্রেমিকার বাড়িতে লরি হামলা
ফোন না ধরায় প্রেমিকার বাড়িতে লরি উঠিয়ে দেন প্রেমিক। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঘটা ওই ঘটনায় সম্প্রতি আদালতে স্বীকারোক্তি দেন অভিযুক্ত প্রেমিক।
স্কটল্যান্ডের সাউথ ল্যানারকশায়ারের ইস্ট কিলব্রাইডের একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত প্রেমিকের নাম ডেরেক ওয়েলিংটন (৩৪)। তিনি একই এলাকার বাসিন্দা। সম্প্রতি আদালতে পুরো ঘটনার জবানবন্দি দেন তিনি।
জানা যায়, ডেরেক ওয়েলিংটন ইচ্ছা করেই ওই বাড়ির ওপরে লরি উঠিয়ে দেন। এ কারণে পুরো বাড়িটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। এতে অন্তত ৪ লাখ ৭৫ হাজার ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়। জবানবন্দির পরে ওয়েলিংটনকে বেপরোয়া আচরণসহ একাধিক অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
এর আগে তিনি এডিনবার্গের একটি হোটেলে তার বান্ধবীকে মারধরের অভিযোগে আটক হয়ে পরে জামিনে ছিলেন। সেই সময় আদালত তাকে তার প্রেমিকার কাছ থেকে দূরে থাকতে নির্দেশ দেয়। আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তারা আবার যোগাযোগ করতে শুরু করেন। ৬ সেপ্টেম্বরের ঘটনার দিনেও তিনি তার প্রেমিকাকে বারবার ফোন করেছিলেন।
গ্লাসগোর আদালতে ওয়েলিংটন বলেন, প্রেমিকা ক্যাসিডি তার সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকার করায় ক্ষোভে সে লরি নিয়ে প্রেমিকার বাড়িতে চলে যায়। ওই সময় ফোনে তিনি চিৎকার করে বলেন, আমি তোমার বসার ঘরে আমার লরি পার্ক করতে যাচ্ছি। এরপরপরই তিনি ল্যাঙ্কাস্টার ক্রিসেন্টে প্রেমিকার বাড়ির দিকে লরিটি চালানো শুরু করেন।
ক্যাসিডির আইনজীবী প্রসিকিউটর লিসা গিলেস্পি কিউসি আদালতকে বলেন, ওয়েলিংটন তখন তার প্রেমিকাকে জানায় ওই বাড়িতে শিশু থাকায় সে সেখানে যাবে না। তবে সে অন্য উপায়ে আসবে। এরপর সে লরি নিয়ে চলে আসে।
ওই সময় প্রেমিকা মিসেস ক্যাসিডি ওয়েলিংটনকে পাশের একটি সড়কে দেখা করার কথা বলে তৎক্ষণাৎ শান্ত করেন। তবে রাত ১১টার দিকে তিনি দেখতে পান ওই লরিটি বেপরোয়াভাবে এগিয়ে আসছে।
আইনজীবী লিসা গিলেস্পি বলেন, ওয়েলিংটনের হুমকিতে আতঙ্কিত হয়ে সে আগেই বাড়ি ফিরে যায়। ততক্ষণে সে ওই লরি আসতে দেখে। আর সেটি তার বাড়ির ওপর উঠে যায়। তবে আগে থেকেই লরিসহ ওয়েলিংটনকে আসতে দেখে ঘরের বাসিন্দারা সেখান থেকে বের হয়ে যান। একারণে ওই ঘটনায় কেউই আহত হননি।
তবে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ওয়েলিংটন লরিটি কয়েকবার ঘরের ওপর চালিয়ে দেয়ার কারণে সেখানে ভূমিকম্পের মতো অবস্থা তৈরি হয়। এতে বাড়িটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়। সূত্র : বিবিসি