reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ৩০ জুন, ২০২২

ভাঙছে পার্লামেন্ট, কী ঘটবে ইসরাইলে

ছবি : সংগৃহীত

মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার অনেক আগেই ভেঙে দেওয়া হচ্ছে ইসরাইলের বর্তমান পার্লামেন্ট। ফলে বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে দখলদার দেশটি নেসেট। ফলে চার বছরেরও কম সময়ের মধ্যে দেশটি পঞ্চমবারের মতো নির্বাচনের মুখোমুখি।

ফলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা সেখানে আরও গভীর হয়েছে। অন্যদিকে দেশটির বর্তমান নাফতালি বেনেট তার ইয়ামিনা দলের সদস্যদের আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না বলে জানিয়েছেন।

একদিকে জীবনধারণের খরচ বেড়েছে। আন্তর্জাতিক উদ্যোগে ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা চলছে। ঠিক এমনই এক সময়ে নতুন রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হচ্ছে দেশটিতে।

ক্ষমতাসীন জোটের ভিতরে বিরোধ সৃষ্টির ফলে এই জোটকে আর সামনে টেনে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ জন্য পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়া হবে বলে গত সপ্তাহে ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট। স্থানীয় সময় বুধবার মধ্যরাতে পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার কথা থাকলেও তা বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিলম্বিত হয়।

এদিকে আজ পার্লামেন্ট ভেঙে দিলে তিনটি বড় ঘটনা ঘটতে পারে। ১. তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেবেন মধ্য বামপন্থি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ। তবে তার হাতে ক্ষমতা থাকবে সীমিত। বৃহস্পতিবার থেকেই তা কার্যকর হবে। ২. ২০১৯ সালে প্রথম নির্বাচনের পর ৫ম বারের মতো নির্বাচন হবে ইসরাইলে। ৩. পার্লামেন্ট হিসেবে পরিচিত নেসেট কার্যত কার্যক্রম হারাবে। সরকার চলবে তত্ত্বাবধায়ক মর্যাদায়।

এখনও ২৫ অক্টোবর বা ১ নভেম্বর কবে নির্বাচন হবে সে সম্পর্কে প্রকৃত তারিখ নির্ধারণ করতে পারেননি এমপিরা। কিন্তু নির্বাচনের পর ক্ষমতায় কে আসবেন তা নিয়ে প্রচারণা শুরু হয়ে গেছে। বলা হচ্ছে, নির্বাচনের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর আবার ক্ষমতায় ফেরার সম্ভাবনা আছে।

এক বছর আগে ডানপন্থি, উদারপন্থি এবং আরব দলগুলোকে নিয়ে বিরল এক জোট গঠন করেন নাফতালি বেনেট ও ইয়ার লাপিদ। তারাই নেতানিয়াহুর রেকর্ড ক্ষমতার ইতি ঘটান।

তবে অনেকেই বেনেট, লাপিদের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। সেই প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি সময় তাদের সরকার টিকে গেছে। কিন্তু সম্প্রতি ভিতরে ভিতরে আভ্যন্তরীণ কোন্দল দেখা দেয়।

এ খবরে উদ্বেলিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান বিরোধী দলীয় নেতা নেতানিয়াহু। তিনি বর্তমান সরকারকে ইসরাইলের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ সরকার বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের বিচার চলমান থাকা সত্ত্বেও তিনি ৬ষ্ঠ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার আশা করছেন।

এখন পর্যন্ত যেসব জনমত জরিপ হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে তার ডানপন্থি লিকুদ পার্টি এগিয়ে আছে সমর্থনে। কিন্তু ধর্মীয় ও জাতীয়তাবাদী মিত্র দলগুলোর সমর্থন পেলেও সরকার গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবেন না বলে মনে করা হচ্ছে।

সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর, আরব নিউজ ও রয়টার্স

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
দখলদার রাষ্ট্র,ইসরাইল,জোট,নেসেট
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close