reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৪ জুন, ২০২২

ভূমিকম্প

আফগানিস্তানে খাদ্য সংকট, কলেরার আশঙ্কা

ভূমিকম্পে ঘর হারিয়ে অনেক পরিবার তাঁবুর নিচে আশ্রয় নিয়েছে

আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর ব্যাপক খাদ্য সংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে কলেরা রোগ ছড়িয়ে পড়ার।

শুক্রবার (২৪ জুন) বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির ভূমিকম্পকবলিত পাকতিকা প্রদেশে মানুষদের জন্য পর্যাপ্ত খাবার নেই। মাথা গোঁজার আশ্রয় নেই। পুরো এলাকায় কলেরা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

আগা জান নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে নিজের বাড়ির ধ্বংসাবশেষ খুঁজছিলেন। তিনি অশ্রুসিক্ত চোখে এক জোড়া জুতা দেখিয়ে বলেন, এগুলো ছিল আমার ছেলের জুতা। ঘুমের মধ্যে তারা ভূমিকম্পে মারা গেছে। তিনি আরও জানান, ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত ঘরবাড়ির নিচে চাপা পড়ে দুই স্ত্রী ও তিন শিশু সন্তান নিহত হয়েছে। সে সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না বলে প্রাণে বেঁচে গেছেন।

পাকতিকা প্রদেশের বারমাল জেলার আগা জানের গ্রামের আশপাশের এলাকাটি ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে প্রায় এক হাজার মানুষ মারা গেছে এবং আরও তিন হাজার আহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

একজন বাসিন্দা তার বাড়ির ধ্বংসস্তূপ থেকে জিনিসপত্র সংগ্রহ করছেন

এ গ্রাম থেকে সবচেয়ে কাছের শহরটিতে যেতেও গাড়িতে তিন ঘণ্টা সময় লাগে। এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় আহতদের দ্রুত সময়ে শহরের হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয়নি। কিছু মানুষকে হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

বিবিসি জানায়, গ্রামের প্রতিটি মানুষ ছুটে আসছিল নাম লেখানোর জন্য। তারা আশা করছিল যে, নাম লিখলে তাদের নামে সাহায্য আসবে। এই গ্রামের শতাধিক পরিবার আশ্রয়হীন অবস্থায় আছে। এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, তাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা। কোনোমতে তাঁবু খাটিয়ে মানুষগুলো বেঁচে আছে।

আফগান এবং আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করছে। তারা সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে এসেছে। কারণ সেখানে এখন ভয়াবহ মানবিক সংকট চলছে। জাতিসংঘের কর্মীরা এ অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দিচ্ছেন। তারা সম্ভাব্য কলেরা প্রাদুর্ভাবের ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করছেন।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ভূমিকম্প,আফগানিস্তান,কলেরা,খাদ্য সংকট
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close