ফের বিক্ষোভে উত্তাল শ্রীলঙ্কা। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে সেখানে। বিক্ষোভের মুখে দেশটির মন্ত্রীসভা সংবিধান সংশোধনের অনুমতি দিয়েছে। নতুন এই সংশোধনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা কমানো হবে। মঙ্গলবার (২১ জুন) মন্ত্রীসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।

দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া ও নতুন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের পদত্যাগের দাবিতে সোমবার দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারও শিক্ষার্থী রাজধানী কলম্বোয় বিক্ষোভ করেন। তাদের দাবি, দেশটির চলমান অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছেন প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী। খবর : আল-জাজিরার।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেছেন, শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকটের জন্য দায়ী প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়া রনিলের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তিনি দেশের চলমান সংকট নিরসনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এলেও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি।

সংবিধানের ২১তম সংশোধনী প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্টের একচ্ছত্র আধিপত্য কমে কিছু ক্ষমতা পার্লামেন্টের হাতে ফিরবে এবং গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সরকারের কমিশনগুলো স্বাধীনতা ভোগ করবে।

শ্রীলঙ্কার পর্যটনমন্ত্রী হারিন ফার্নান্দো এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ২১তম সংশোধনী মন্ত্রীসভায় উত্থাপিত এবং পাস করা হয়েছে। প্রস্তাবটি এখন দেশের পার্লামেন্টে পাঠানো হবে। যেখানে এটি পাসের জন্য দুই-তৃতীয়াংশ পার্লামেন্ট সদস্যের ভোট প্রয়োজন।

এর আগে গত এপ্রিলে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নিজেদের ঋণখেলাপি ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। মারাত্মক আর্থিক সংকটে পড়ে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে দেশকে দেউলিয়া ঘোষণা করতে বাধ্য হয় সরকার। এরপরই ভঙ্গুর অর্থনীতির গতি ফেরাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ (আইএমএফ) দাতা সংস্থাগুলোর কাছে ৩০০ কোটি ডলার সাহায্য চায় সরকার।