অনলাইন ডেস্ক
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সর্বাত্মক হামলা রাশিয়ার
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে ইউক্রেনে সবচেয়ে বড় হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা এ কথা বলেছেন এক টুইট বার্তায়। খবর দ্যা গার্ডিয়ানের। এ দিকে মঙ্গলবার (২৪ মে) ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়া সর্বাত্মক হামলা শুরু করেছে বলে খবর দিয়েছে রয়টার্স।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ইউক্রেনীয় সেনাদের ঘেরাও করতে মঙ্গলবার ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সর্বাত্মক হামলা শুরু করেছেন রুশ সেনারা। এই হামলার ফলাফল ওই অঞ্চলে রুশবাহিনীর সফলতা বা ব্যর্থতা নির্ধারণ করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইউক্রেন যুদ্ধের ঠিক তিন মাস পর ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে ভূগর্ভস্থ মেট্রো চালু করার পরিকল্পনা করছে কর্তৃপক্ষ। যেখানে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ কয়েক মাস ধরে টানা বোমা হামলা থেকে বাঁচতে আশ্রয় নিয়ে রয়েছে।
যুদ্ধের সর্বশেষ পর্বের নির্ণায়ক লড়াইগুলো এখনো ইউক্রেনের দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলেই চলছে। যেখানে মস্কো পূর্বাঞ্চলীয় দুটি প্রদেশ দোনেস্ক এবং লুহানস্কের দনবাস অঞ্চল দখলের চেষ্টা করছে এবং মূল পূর্বাঞ্চলে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে একটি এলাকায় আটকে রাখার চেষ্টা করছে।
লুহানস্কের গভর্নর সেরহি গাইদাই বলেন, লিসিচানস্ক এবং সিভিয়েরোডোনেৎস্ককে ঘিরে ফেলতে শত্রুরা আক্রমণ চালাচ্ছে। যেখানে দুটি শহর এখনো ইউক্রেনের দখলে থাকা শেষ অঞ্চলগুলোর মধ্যে রয়েছে। এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, শহরটিতে ১৫ হাজার মানুষের বাস। তারা এখনো ইউক্রেনীয় সেনাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এ দিকে ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ কবে থামবে, তার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না বলে এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুলেবা টুইটে বলেছেন যে, রাশিয়ার হামলা প্রতিহত করতে ইউক্রেনের যে পরিমাণ অস্ত্র প্রয়োজন তা ইউক্রেন পেয়ে গেছে, এমন কথা বলা যাবে না।
ইউক্রেনীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুঝিয়েছেন, তাদের আরও অস্ত্র প্রয়োজন। তিনি মিত্র দেশগুলোর কাছে অনুরোধ করেছেন, তারা যেন অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাঠানোর বিষয়টি দ্রুত সময়ের মধ্যে করেন।