চাঁদের মাটিতে জন্মাল গাছ
চাঁদের মাটিতে গাছ জন্মাতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। মানব ইতিহাসে এটা এবারেই প্রথম এবং চন্দ্র ও মহাকাশ অনুসন্ধানে একটি মাইলফলক।
ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল দেখায়, চাঁদের মাটিতে গাছপালা সফলভাবে অঙ্কুরিত হতে পারে এবং বৃদ্ধি পেতে পারে। চাঁদে বা মহাকাশ মিশনের সময় খাদ্য এবং অক্সিজেনের জন্য উদ্ভিদ গজানোর প্রথম পদক্ষেপ এটি।
এই গবেষণাটি কমিউনিকেশনস বায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। ওই গবেষণা দলটি দেখার চেষ্টা করেছে, কীভাবে উদ্ভিদ চাঁদের মাটিতে জৈবিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়। চাঁদের এই মাটি লুনার রেগোলিথ নামে পরিচিত, যা পৃথিবীতে পাওয়া মাটি থেকে পুরোপুরি ভিন্ন।
চাঁদে অ্যাপোলো ১১, ১২ এবং ১৭ মিশনের সময় চাঁদের ১২ গ্রাম বা মাত্র কয়েক চা চামচ মাটি সংগ্রহ করা হয়েছিল। তাদের ক্ষুদ্র চন্দ্র বাগান গাছ জন্মাতে গবেষকরা প্লাস্টিকের প্লেটে থিম্বল-আকারের কূপগুলো ব্যবহার করেন যা সাধারণত কালচার সেলের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
প্রতিটি কুপ একটি পাত্র হিসেবে কাজ করেছে। এরপর প্রতিটি ‘পাত্র’ আনুমানিক এক গ্রাম চাঁদের মাটি দিয়ে পূর্ণ করার পর বিজ্ঞানীরা একটি পুষ্টির দ্রবণ দিয়ে মাটিকে আর্দ্র করেছিলেন এবং অ্যারাবিডোপসিস উদ্ভিদ থেকে কয়েকটি বীজ বুনেছিলেন।
অ্যারাবিডোপসিস উদ্ভিদ বিজ্ঞানে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় কারণ এর জেনেটিক কোড পুরোপুরি ম্যাপ করা হয়েছে। সেখান থেকেই মাটি ফুড়ে বেড়িয়ে আসে গাছ।
উদ্যানবিদ্যার অধ্যাপক অ্যানা-লিসা পল বলেন, দু’দিন বাদেই বীজ থেকে অঙ্কুর বের হতে শুরু করে। বলে বোঝাতে পারব না, আমরা কী পরিমাণ অবাক হয়েছিলাম! দুই রকম ট্রে ছিল। এক ধরনের ট্রেতে চাঁদের মাটিতে বীজ ছড়ানো হয়েছিল। অন্য ট্রেতে পৃথিবীর মাটিতে বীজ দেয়া হয়। দু’ক্ষেত্রেই একই রকম গাছ হয়েছে। সূত্র : ওয়াশিংটন পোস্ট