reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৯ মে, ২০২২

জাতি বৈষম্যের অভিযোগ

ভারতে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন ৬০০ মুসলিম জেলের

ফাইল ছবি

ভারতের গুজরাটে সরকারের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগ তুলে স্বেচ্ছায় মৃত্যুর আবেদন জানিয়েছেন ৬০০ জন মুসলিম মৎস্যজীবী। গুজরাটের পোরবন্দরের গোসাবারা জলাভূমির মৎস্যজীবীদের নেতা আল্লারাখা ইসমাইল ভাই থিম্মার গুজরাট হাইকোর্টে গত বৃহস্পতিবার (৫ মে) এই আবেদন করেন।

আবেদনে তারা নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের দলের পরিচালিত রাজ্য সরকারের বৈষম্য তুলে ধরেন। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, জীবনধারণ করাটাই দুর্বিষহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই তিনি এবং তার সঙ্গে ৬০০ জনকে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দিক আদালত।

হাইকোর্টে একই আবেদন জানিয়েছে গোসাবারা মুসলিম ফিশারমেনস সোসাইটি। ওই সংগঠনের অভিযোগ, একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মৎস্যজীবীরা সরকারের বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। ওই সম্প্রদায়ের মৎস্যজীবীদের কোনো রকম সরকারি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে না। নানাভাবে তাদের হেনস্থা করা হচ্ছে।

আবেদনে জানানো হয়েছে, ওই সম্প্রদায়টি ‘রাজনৈতিক নিপীড়নে’র শিকার। বিভিন্নভাবে স্থানীয় প্রশাসন তাদের হেনস্থা করেছে। এলাকার ১০০টি পরিবারের ৬০০ লোক মৎস্য ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। মাছ ধরার জন্য তাদের মৎস্য দপ্তরের অনুমতিপত্রও রয়েছে। তা সত্ত্বেও গোসাবারা এবং নভি বন্দরে তাদের নোঙর করতে দেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ২০১৬ সাল থেকে তাদের এই ধরনের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বলে আদালতে জানিয়েছেন পোরবন্দরের ওই মুসলিম মৎস্যজীবীরা।

আবেদনকারী মৎস্যজীবীদের আইনজীবী ধর্মেশ গুর্জার বলেন, ২০১৬ সাল থেকে গোসাবারা বন্দরে মুসলিম মৎস্যজীবীদের নৌকা চলাচল বন্ধ করা দেওয়া হয়েছে। অনুমতিপত্রেরও তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। থিম্মার অভিযোগ, হিন্দু মৎস্যজীবীদের সরকার সব রকম সুবিধা দিচ্ছে, অথচ তাদের দিকে কেউ ফিরেও তাকাচ্ছে না। তার কথায়, আমাদের ভাতে মারার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

মুসলিম মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হলেও কোনো লাভ হয়নি। অথচ তারা বেআইনি কাজকর্মের সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নন। বরং পাকিস্তানের মদদপুষ্ট দুষ্কৃতীদের গতিবিধি সম্পর্কে নিরাপত্তাবাহিনীকে সবসময় অবহিত করেন এবং সহযোগিতা করেন। সূত্র : আনন্দবাজার

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
জেলে,মৎস্যজীবী,ভারত,বৈষম্য
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close