reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচারে আপত্তি নেট সু চির অনুসারীদের

ছবি : সংগৃহীত

মিয়ানমারে গতবছর সামরিক অভ্যুত্থানের পর অং সান সু চির দলের এমপি আর কর্মীদের নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যের ছায়া সরকার (এনইউজি) জানিয়েছে, রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) মামলা বিচারের এখতিয়ার নিয়ে তাদের আর আপত্তি নেই।

এই মামলার বিষয়ে প্রাথমিকভাবে যে আপত্তি জানানো হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা বলেছে এনজিইউ, বুধবার এক প্রতিবেদনে এটি জানায় রয়টার্স।

মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত সরকারের আইনপ্রণেতা ও প্রশাসনিক কর্মীদের নিয়ে গঠিত এনজিইউ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তাদের এ অবস্থান তুলে ধরে।

সামরিক জান্তা মিয়ানমারের ক্ষমতা দখলের আগে ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির সরকার প্রাথমিকভাবে এ মামলার বিচারে আইসিজের এখতিয়ার নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সু চি নিজেই নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগের পিস প্যালেসে উপস্থিতি থেকে মিয়ানমার সরকরের পক্ষে শুনানি করেন এবং রাখাইনে সামরিক বাহিনীর হাতে গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।

রয়টার্স লিখেছে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের গ্রামে গ্রামে নির্বিচারে গণহত্যার অভিযোগ এনে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার করা এ মামলার বিচারে আইসিজের এখতিয়ার চ্যালেঞ্জ করা মূলত বিচার প্রক্রিয়াকে দেরি করিয়ে দেওয়ার একটি চেষ্টা হিসেবে দেখছেন অনেকে।

তবে এনজিইউর এই বিবৃতি আইজেসির আইনি প্রক্রিয়ায় আদৌ কোনো প্রভাব ফেলবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

‘নির্বাসিত সরকার’ হিসেবে এনইউজির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, একটি ‘প্রশাসনিক ধ্যানধারণার মধ্যে থেকে’ আইসিজে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে জান্তার অধীনে থাকা মিয়ানমার দূতাবাসের কূটনীতিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং সেটা নিয়ে তাদের আপত্তি আছে।

তাদের বিবৃতিতে বলা হয়, “আইসিজে যদি সামরিক জান্তাকে স্বীকৃতি দেওয়া প্রক্রিয়ায় থাকে, তাহলে তা জান্তাকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে এবং মিয়ানমারে প্রতিনিয়ত ঘটে চলা নৃশংস অপরাধ বাড়িয়ে তুলবে।”

এনজিইউ আহ্বান জানিয়েছে, আইসিজে যেন জাতিসংঘে মিয়ানমারের স্থায়ী প্রতিনিধি কিয়াও মোয়ে তুনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে। মিয়ানমারে ক্ষমতার পালাবদল হলেও কিয়াও মোয়ে তুন সামরিক জান্তার পক্ষে না থাকার ঘোষণা দিয়ে এনজিইউকে সমর্থন দিয়ে আসছেন।

রয়টার্স জানিয়েছে, এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আইসিজের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। মিয়ানমারের জান্তার মুখপাত্রও তাদের টেলিফোন ধরেননি।

উল্লেখ্য, রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগ নিয়ে জাতিসংঘের এই সর্বোচ্চ আদালতের চূড়ান্ত রায় আসতে কয়েক বছরও লেগে যেতে পারে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
রোহিঙ্গা,মিয়ানমার,সু চি,আইসিজে
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close