তিন দিনে বাঘের আক্রমণের শিকার তিন মৎস্যজীবী
পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনে পরপর তিন দিনে তিনজন বাঘের হামলার শিকার হলেন। হামলায় প্রথম দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তৃতীয় ব্যক্তির খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট রেঞ্জের বাগনা বিটের অন্তর্গত ঝিলা-৪ কম্পার্টমেন্টের জঙ্গলে কাঁকড়া ধরার সময় চিত্ত সরকার (৪০) নামে এক মৎস্যজীবীকে বাঘ টেনে নিয়ে যায়। এখনও তার সন্ধান মেলেনি। চিত্ত সরকারের বাড়ি গোসাবা ব্লকের লাহিড়ীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পরশমণি গ্রামের পূর্বপাড়ায়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকালে ঝিলার-৪ নম্বর জঙ্গলের ভাইজোড়া খালের কাছে নেমে কাঁকড়া ধরার সময় হঠাৎই তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে একটি বাঘ। সে সময় সুবল মণ্ডল ও সুব্রত কয়াল তাকে ছাড়িয়ে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু বাঘের শক্তির সামনে দুজনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। ওই মৎস্যজীবীকে জঙ্গলে টেনে নিয়ে যায় বাঘ।
এরপর সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ঝিলার বিট অফিসে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু বনদপ্তরের কর্মীরা সেখানে গিয়ে তার কোনো সন্ধান পাননি। রাত পর্যন্ত কোনো খোঁজ মেলেনি চিত্ত সরকারের।
গত রোববার (৩০ জানুয়ারি) সকালে ঝিলা-১ কম্পার্টমেন্টের জঙ্গলে কাঁকড়া ধরার সময় অরবিন্দ বিশ্বাস নামে এক মৎস্যজীবীকে বাঘ টেনে নিয়ে যায়। পরে বনকর্মীরা তার মরদেহ উদ্ধার করেন। অরবিন্দ বিশ্বাস কুমিরমারির বাসিন্দা।
এর আগের দিন সোমবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনা বনবিভাগের অন্তর্গত বেনিফেলির জঙ্গলে বাঘের হামলায় গুরুতর জখম হন মৎস্যজীবী শঙ্কর সর্দার। মঙ্গলবার ভোরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। কুলতিলর গ্রামের বাসিন্দা তিনি।
বনকর্মীরা জানান, সুন্দরবনে সাম্প্রতিককালে তিন দিনের মধ্যে বাঘের হামলার তিনটি পৃথক ঘটনায় তিনজনের মৃত্যুর নজির নেই।