রাশিয়া-ইউক্রেন উত্তেজনায় পশ্চিমা বিশ্ব ভীতি ছড়াচ্ছে
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানী কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব যেন অহেতুক ভীতি না ছড়ায়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘পশ্চিমের কয়েকটি দেশের সম্মানিত নেতারা এমনভাবে বক্তব্য দিচ্ছেন, যেন আগামী কালই ইউক্রেনে হামলা ঘটবে। তাদের এই বিষয়ক বক্তব্য, উদ্বেগ-সতর্কবার্তার ফলে ইউক্রেনের জনগণের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়ছে। এর ফলে আমাদেরকে কতটা মূল্য দিতে হবে? দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, অর্থনীতি ও সামাজিক অবস্থার জন্য এই ভীতি খুবই ক্ষতিকর।’
গত ডিসেম্বরে রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে লক্ষাধিক রুশ সেনা মোতায়েনের পর থেকেই ইউক্রেনের পক্ষে সরব হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও ন্যাটো। ইতোমধ্যে এই ইস্যুতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক ঐক্যের ডাক দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ।
এর মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে টেলিফোন করেন যুক্তরাষ্টের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফোনালাপে জেলেনস্কিকে সতর্কবার্তা দিয়ে তিনি বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়া সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারে বলে ‘সুনিশ্চিত’ বা ‘অতিস্পষ্ট সম্ভাবনা’ আছে।
যদিও ইউক্রেন সীমান্তে বর্তমানে সেই সংখ্যা প্রায় ১ লাখ রুশ সেনা অবস্থান করছে, তবে শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেছেন, গত বছর বসন্ত থেকেই সীমান্তে সেনা মোতায়েন শুরু করেছে রাশিয়া।
‘কেবল সেনা উপস্থিতির কারণে নিকট ভবিষ্যতে আগ্রাসন হতে পারে, আমরা এমন মনে করছি না’- সংবাদ সম্মেলনে বলেন জেলেনস্কি।
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অঙ্গরাজ্য ও রাশিয়ার প্রতিবেশী রাষ্ট্র ইউক্রেন কয়েক বছর আগে ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করার পর থেকেই উত্তেজনা শুরু হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। সম্প্রতি ন্যাটো ইউক্রেনকে সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় আরও বেড়েছে এই উত্তেজনা। সুত্র: বিবিসি