ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই কমছে ব্রিটেনে। ২৭ জানুয়ারি থেকেই আর মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক নয় সেখানে। অফিসের কাজ করা যাবে অফিসে এসেই। বড় কোনো জমায়েতে ঢুকতেও আর দেখাতে হবে না জোড়া টিকার প্রমাণপত্র।

বুধবার (১৯ জানুয়ারি) সরকারি এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন বরিস জনসন। এর মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফেরার ছাড়পত্র দিল ব্রিটেন সরকার।

প্রধানমন্ত্রী জনসন জানান, ‘প্ল্যান- বি’ (করোনা ঠেকাতে কঠোর বিধিনিষেধ)-এর মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৬ জানুয়ারি। দেশে করোনা তলানিতে এসে ঠেকেছে। এই পরিস্থিতিতে ‘প্ল্যান- বি’-এর মেয়াদ আর বাড়ানোর কোনো কারণ নেই। সামনের সপ্তাহ থেকে ‘প্ল্যান- এ’-(স্বাভাবিক জীবনযাত্রা)-তে ফিরতে পারবে ইংল্যান্ড।

দেশে ওমিক্রন সংক্রমণ ক্রমশ তলানিতে ঠেকছে। এই পরিস্থিতিতে করোনাকালে আরোপিত সমস্ত বিধিনিষেধ শিথিল করে দিল ইংল্যান্ড। তবে মাস্ক পরা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জনসন জানিয়েছেন, বড় কোনো জমায়েত, বদ্ধ জায়গায় অনেকক্ষণ থাকার ব্যাপার কিংবা বহু অচেনা মানুষের সংস্পর্শে এলে মাস্ক পরে থাকাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত ইংরেজদের বিবেচনাবোধের ওপরই ছাড়তে চান জনসন।

তবে করোনা পজিটিভ হলে কোয়ারেন্টাইনে থাকার সরকারি নীতির মেয়াদ ২৪ মার্চ পর্যন্ত। কিন্তু পরিস্থিতির যে হারে উন্নতি হচ্ছে, তাতে কোয়ারেন্টাইনে থাকার মেয়াদ আরও কমিয়ে আনা হতে পারে। এখন, ব্রিটেনে করোনা পজিটিভ হলে পাঁচ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়। পঞ্চম ও ষষ্ঠ দিন র‍্যাপিড টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট প্রয়োজন হয়। ভবিষ্যতে সেই নিয়মেও বদল আনার কথা ভাবা হচ্ছে বলে বুধবার কমন্সে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জনসন। সব মিলিয়ে করোনাকাল শেষে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার প্রস্তুতি চলছে শুরু ব্রিটেনে। সূত্র : রয়টার্স ও আনন্দবাজার