ভারতে এই প্রথম একটি গ্রামকে স্যানিটারি ন্যাপকিন মুক্ত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। কেরালার এর্নাকুলাম জেলার কুম্বালাঙ্গি গ্রামের মেয়েরা কেউ পিরিয়ডের সময় আর স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করবে না। ন্যাপকিনের বদলে তারা সকলেই ব্যবহার করবে মেনস্ট্রুয়াল কাপ।

সরকারি উদ্যোগেই কুম্বালাঙ্গি গ্রামে বিতরণ করা হয়েছে মেনস্ট্রুয়াল কাপ। গ্রামের সব বয়সের মেয়েদের মধ্যে প্রায় ৫ হাজারের বেশি কাপ বিলি করা হয়েছে। তারপর সরকারি উদ্যোগেই ভলান্টিয়ার দিয়ে চলেছে ট্রেনিং।

কেরালার রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান বলেন, দেশের সমস্ত গ্রামের কাছেই কুম্বালাঙ্গি রোল মডেল হয়ে উঠবে। সরকারের উদ্যোগে, এই ধরনের প্রকল্পগুলো নারী ক্ষমতায়নের কেন্দ্রে থাকবে। তার মতে, দেশ তখনই আগাবে যদি গ্রাম এগিয়ে চলে।

জানা গেছে কুম্বালাঙ্গিকে স্যানিটারি ন্যাপকিন মুক্ত করা প্রক্রিয়া চলছিল আগে থেকেই। সরকারি প্রতিনিধিরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেখানকার মেয়েদের ট্রেনিং দিয়েছেন কীভাবে মেনস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহার করতে হয়, তাতে কতখানি সুবিধা পাওয়া যায় পিরিয়ডের সময়। সমগ্র প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘আভালকাই’ বা ‘মেয়েটির জন্য’।

এর্নাকুমালের সাংসদ হিবি ইডেন আশাবাদী, প্যাড তথা স্যানিটারি ন্যাপকিনের বদলে মেনস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহার করলে পরিবেশ দূষণ অনেকটা কমবে।

তিনি বলেন,সিন্থেটিক ন্যাপকিনে পরিবেশের যে ক্ষতি হয়, তা মেনস্ট্রুয়াল কাপে হবে না। এই কাপ ব্যবহার করলে মেয়েদের ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা আরো ভালভাবে বজায় থাকবে। বিশেষত যেসব নারীরা কাজ করে বা মেয়েরা যারা পড়াশোনা করে তাদের জন্য এটি সুবিধাজনক।

ঋতুবতী মেয়েদের সুবিধার জন্য এর্নাকুলামের সব স্কুলে ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন বসানো হয়েছে আগেই। কিন্তু তাতেও কিছু সমস্যা হতো। তারপর এই মেনস্ট্রুয়াল কাপের বিষয়টি মাথায় আসে প্রশাসনের।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে গ্রামে শুরু করে দেওয়া হয় প্রকল্পের কাজ। এই কাপ বারবার ব্যবহার করা যায়, সুবিধা রয়েছে অনেক। একটা মেনস্ট্রুয়াল কাপ কিনে নিলে খরচও অনেক কমে যায়, বারবার স্যানিটারি ন্যাপকিন কেনার থেকে। সূত্র : ভোয়াবাংলা